আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারানোর অন্যতম নায়ক তিনি। নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সেই তাসকিন আহমেদকেই প্রয়োজন বাংলাদেশের।
তবে এবার কাজটা আরও কঠিন। একে তো পাকিস্তান খেলবে নিজেদের কন্ডিশনে, সঙ্গে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাসকিনও জানেন কাজটা কঠিন, তবে তাঁর কণ্ঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয়।
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিসিবির দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তাসকিন বলেছেন, ‘এ রকম উইকেটে (লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম) বোলারদের মার্জিন কম থাকে, একটু এদিক–সেদিক হলেই বাউন্ডারি খাওয়ার সুযোগ বেশি। পাকিস্তানের ব্যাটিং বিশ্বের অন্যতম সেরা। সহজ হবে না, তবু আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা সেরাটা দিতে পারলে ওদের কমের মধ্যে আটকাতে পারব।’
পাকিস্তান ম্যাচের আগেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এশিয়া কাপে আর খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেনের। এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান তাঁরই। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ রানের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের না থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য ক্ষতি, সেটি অস্বীকার করছেন না তাসকিন, ‘শান্তর (নাজমুল) চোট অবশ্যই আমাদের জন্য ক্ষতি। ওর জন্য শুভকামনা থাকবে, দ্রুত যেন চোট থেকে ফিরতে পারে। ও অসাধারণ ব্যাটিং করেছে দুটো ম্যাচেই। শান্তর পরিবর্তে যে খেলবে, আশা করছি অভাবটা সে পূরণ করে দিতে পারবে।’
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ম্যাচে ভরাডুবির পর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মাটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লাহোরের ব্যাটিং-স্বর্গে কীভাবে বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেই কৌশলের কথাও বলেছেন তাসকিন, ‘লাহোরের উইকেট অনেক ব্যাটিং–সহায়ক। যেদিন খেলব, সেদিন উইকেট বা কন্ডিশন তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছিলাম। এখন আমরা আরও ভালো করার চেষ্টা করব। অ্যাকুরেসি ও ভ্যারিয়েশন ছিল বলে আমরা ভালো করতে পেরেছি। আশা করছি সামনেও এটা সাহায্য করবে।’
আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা ৩-৩০ মিনিটে শুরু।