বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে হারশিত রানার অভিষেক একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তবে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে শেষ ম্যাচে খেলা হয়নি হারশিতের। এই সংক্রমণে তিনি মাঠেও যেতে পারেননি।
হঠাৎ অসুস্থতায় অভিষেক না হওয়ায় হারশিতের মন খারাপ হতেই পারে। তবে তাঁর অসুস্থতায় খুশি হতে পারে হারশিতের আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন হারশিত। ১৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন ১৯টি। তাহলে তাঁর অসুস্থতায় কলকাতা খুশি হতে পারে, এমন ধারণা কেন? কারণ, আগামী মৌসুমের মেগা নিলাম।
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ছয় ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে। এর মধ্যে ‘আনক্যাপড’ বা অভিষেক না হওয়া ক্রিকেটার রাখা যাবে সর্বোচ্চ দুজন। এই তালিকা দিতে হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।
ভারতীয় ও বিদেশি মিলিয়ে ‘ক্যাপড’ বা অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ধরে রাখা যাবে সর্বোচ্চ পাঁচজনকে। মানে একজন ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটার ধরে রাখতে হবেই। ভারত জাতীয় দল থেকে পাঁচ বছর আগে অবসর নেওয়া খেলোয়াড়েরাও আইপিএলে আনক্যাপড হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই দুই ক্যাটাগরির ক্রিকেটারকে মাত্র ৪ কোটি রুপিতে ধরে রাখতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
অর্থাৎ, এখন সহজেই মাত্র ৪ কোটি রুপিতে হারশিতকে ধরে রাখতে পারবে কলকাতা। যদি কালকে হারশিতের অভিষেক হয়ে যেত, তাহলে তাঁকে ১৮, ১৪ কিংবা ১১ কোটি রুপিতে ধরে রাখতে হতো। তখন তাঁকে কলকাতা রাখত কি না, সেটা এক প্রশ্ন।
নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলের ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে হারশিতকে। তিনি সুযোগ পেতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেটা হবে আগামী নভেম্বরে। অর্থাৎ, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হারশিতের অভিষেকের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।