১৩০ রানে অপরাজিত মার্শাল আইয়ুব
১৩০ রানে অপরাজিত মার্শাল আইয়ুব

মার্শালের ২৬তম সেঞ্চুরি, মাহিদুলের ১ রানের অপেক্ষা

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৬তম সেঞ্চুরিটি পেয়ে গেলেন মার্শাল আইয়ুব। আজ ঢাকা মহানগর অধিনায়ক সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি পেলেন দলের ঘোর বিপদের সময়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের ৩৭৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২১০ রানে অলআউট হয় ঢাকা মহানগর।

১৬৬ রানে পিছিয়ে থাকা মহানগরকে ফলো অন করান খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান। ফলো অনে পড়া সেই মহানগরকে ১৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টেনে তোলেন মার্শাল। তৃতীয় দিন শেষে মহানগর এগিয়ে ১৩১ রানে, হাতে আছে ৬ উইকেট।

কক্সবাজারে সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল রাজশাহীর প্রিতম কুমারের। বরিশালের বিপক্ষে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পাশের মাঠে ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ৯৯ রানে। বগুড়ায় রংপুর বিভাগের ১৯০ রানের জবাবে ব্যাট করছে সিলেট বিভাগ। তৃতীয় দিন শেষে তাদের রান ২ উইকেটে ৫১। আগামীকাল শেষ দিনের খেলায় জয়ের জন্য সিলেটের দরকার ১৩৯ রান।

মার্শালের লড়াই

খুলনা বিভাগের অধিনায়ক নুরুল হাসানের সিদ্ধান্তটা কি ঠিক ছিল? জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দুই রাউন্ডের দুটি ম্যাচ জেতা ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানের লিড পেয়েছিল তাঁর দল। ওই লিড নিয়েই মহানগরকে ফলো অনে ফেলে খুলনা।

মহানগরের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্শাল সে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন, ভুগিয়েছেন খুলনার বোলারদের। ২০০ বল খেলে ১৩০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৮ রানে খেলছেন আমিনুল ইসলাম। দুজনের সৌজন্যে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে মহানগরের রান ২৯৭, লিড ১৩১।

জমে উঠেছে সিলেট-রংপুর লড়াই

প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রানে ৫ উইকেট নেই। সেখান থেকে রংপুর বিভাগকে টেনে তোলেন তানভীর হায়দার (৭২) ও নবীন ইসলাম (৬৩)। দুজনের জোড়া ফিফটির সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রান করতে পারে দলটি।

তাতে সিলেট বিভাগকে চতুর্থ ইনিংসে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আকবর আলীর দল। জবাবে সিলেট তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৫১ রান করে। ২৮ রানে অপরাজিত পিনাক ঘোষ, ১ রানে অপরাজিত আছেন নাইটওয়াচম্যান রেজাউর রহমান। জয়ের জন্য আরও ১৩৯ রান দরকার সিলেটের, রংপুরের ৮ উইকেট।

মাহিদুল অপরাজিত ৯৯

হুট করেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলা হয়নি মাহিদুল ইসলামের। তৃতীয় রাউন্ডে ঢাকা বিভাগে ফিরেই দলের বিপদে হাল ধরেন তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে তিনি ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে জয়রাজ শেখ ৭৪ রান করেন। দুজনের সৌজন্যে ঢাকা দিন শেষে করেছে ৪ উইকেটে ২৮১ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রান করা চট্টগ্রাম এখনো এগিয়ে ৯০ রানে।

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মাহিদুল

পিছিয়ে আছে বরিশাল

কক্সবাজারের আরেক ম্যাচে বরিশালকে ২০৫ রানে থামিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৫ রান করেছে রাজশাহী। প্রিতম কুমারের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস। শেষের দিকে নিহাদউজ্জামানের ৩৩ ও ওয়াসি সিদ্দিকির অপরাজিত ৩৪ রান রাজশাহীর রানটাকে বাড়িয়ে নেয়। ৭০ রানে পিছিয়ে থাকা বরিশাল শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ ওভার ব্যাট করে রান করেছে ১০। দিন শেষে এখনো ৬০ রানে পিছিয়ে আছে বরিশাল।