ভারতের প্রথম ৪ ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ শামির। বাংলাদেশের বিপক্ষে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর একাদশে সুযোগ পান ভারতের এই পেসার। সুযোগ পাওয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
একাদশে সুযোগ পেয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম পর্বের ম্যাচে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন। বল হাতে এমন আগুনে পারফরম্যান্স শামি এবারের বিশ্বকাপে খেলা প্রতি ম্যাচেই করেছেন। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তো নিয়েছেন ৭ উইকেট। সেদিন ভারত ৭০ রানে জিতে ফাইনালে ওঠে।
টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠা ভারত গতকাল রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর পারেনি। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। অস্ট্রেলিয়া এই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ৪২ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে।
ফাইনালে বল হাতে শামিও খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি। ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করে ভারতকে প্রথম উইকেট তিনিই অবশ্য এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে ফাইনালে ওই একটিই উইকেট শামির।
ফাইনালে এই একটি শিকার নিয়েই ৭ ইনিংসে ২৪ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন শামি। এই উইকেটগুলো তিনি পেয়েছেন মাত্র ১০.৭০ গড়ে, ইকোনমিও অবিশ্বাস্য—৫.২৬! টুর্নামেন্টে এমন পারফরম্যান্সের পরও কিনা ফাইনালের পরাজিত দলে শামি।
এটা কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না ভারতীয় পেসার। ফাইনাল শেষে হৃদয়ভাঙা এই হার নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এটা হজম করা কঠিন। তবে আমাদের মাথা উঁচুই থাকছে।’