রেজাউরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মাশরাফি
রেজাউরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মাশরাফি

বিপিএল

রেজাউরের তোপে জয়ে শুরু মাশরাফিদের

গত মৌসুমে বিপিএল অভিষেক হয়েছিল রেজাউর রহমানের, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলেছিলেন চারটি ম্যাচ। এবার তিনি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে সেই রেজাউরের তোপেই পড়ল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

তরুণ এ পেসারের ৪ উইকেটের পর চট্টগ্রাম থামল ৮৯ রানে। নাজমুল হোসেন ও জাকির হাসানের ব্যাটিংয়ে সিলেট সে রান টপকে গেছে ৪৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে।

এগিয়ে আনা সময়ে দুপুর ২টায় শুরু হয় ম্যাচ, টসে জিতে অনুমিতভাবেই ফিল্ডিং নেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুতে পেসাররা পান মুভমেন্ট, বল নিচুও হচ্ছিল। চট্টগ্রামের ব্যাটিং গতি পায়নি ইনিংসের কোনো পর্যায়েই।

প্রায় আট মাস পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা মাশরাফি ও মোহাম্মদ আমিরের করা প্রথম ২ ওভারে ওঠে ২ রান। তৃতীয় ওভারে মাশরাফিকে টেনে লং অফের ওপর দিয়ে একটি ছক্কা মারেন তার আগপর্যন্ত ভুগতে থাকা মেহেদী মারুফ। তবে এক বল পরই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে করা জাকির হাসানের সরাসরি থ্রোয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় মারুফকে। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারানো চট্টগ্রাম পথ খুঁজে পায়নি আর।

মাশরাফি ও মুশফিক

সিলেট পেসারদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। ইমাদ ওয়াসিম ও কলিন অ্যাকারম্যান-দুই স্পিনারকে দিয়ে মাত্র ৫ ওভার বল করিয়েছেন মাশরাফি, তাতে উঠেছে ৩১ রান।

তবে ৪ পেসারের বাকি ১৬ ওভারে মাত্র ৫৮ রান নিতে পারে চট্টগ্রাম। আমির ২ উইকেট নেন মাত্র ৭ রানে। বিপিএলে ৪ ওভার বোলিং করে এটিই আমিরের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং-ফিগার।

পাঁচে আসা আফিফ হোসেনের ২৩ বলে ২৫ রানই চট্টগ্রাম ইনিংসে সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুজন-আল-আমিন জুনিয়র ও মারুফ। শুভাগত হোম, আফিফ, উন্মুক্ত চাঁদ, উসমান খানদের সমন্বয়ে গড়া চট্টগ্রামের মিডল অর্ডারের মূল ক্ষতিটা করেছেন রেজাউরই। শুভাগতর পর তিনি ফিরিয়েছেন উসমান, উন্মুক্ত ও নিহাদুজ্জামানকে। ২০ ওভার খেললেও ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম।

রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা দারুণ এক ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন অ্যাকারম্যান। চট্টগ্রাম পরের সাফল্যটি দ্রুত পায়নি। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল ও জাকির যোগ করেন ৬৩ রান। মালিন্দা পুষ্পকুমারার বলে ২১ বলে ২৭ রান করা জাকির এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে সে জুটি।

সিলেট শিবিরে উইকেট পতনের আনন্দ

তবে ততক্ষণে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সিলেট। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকা নাজমুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ৮৯/৯ (আফিফ ২৫, আল-আমিন ১৮, মারুফ ১৩; রেজাউর ৪/১৪, আমির ২/৭, মাশরাফি ১/১৮, অ্যাকারম্যান ১/২২)

সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২.৩ ওভারে ৯০/২ (নাজমুল ৪৩*, জাকির ২৭, মুশফিক ৬; মৃত্যুঞ্জয় ১/১১, পুষ্পকুমারা ১/২২)

ফল: সিলেট ৮ উইকেটে জয়ী।