বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও পরিচিত নাম ডেভিড ম্যালান
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও পরিচিত নাম ডেভিড ম্যালান

কোচিং, খেলা—ইংল্যান্ড থেকে বাদ পড়া ম্যালানের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সর্বশেষ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পরও জাতীয় দলে ভবিষ্যৎটা বেশ অনিশ্চিত ডেভিড ম্যালানের। সামনে কী—সে ব্যাপারে ইসিবির পুরুষদের ক্রিকেট পরিচালক রব কির সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি। তবে এ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে বসে থাকছেন না মোটেও। এ মৌসুমে খেলার পাশাপাশি কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারকে কোচিংও করাবেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সে ম্যালানের ব্যাটিংই যা একটু সান্ত্বনা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু বিশ্বকাপের পর ক্যারিবীয় সফরের দলে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলেও আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলা হবে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ম্যালান নিজেই।

এ মুহূর্তে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ম্যালান। ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ফিল সল্ট (দ্বিতীয়) ও জস বাটলার (নবম) শুধু তাঁর ওপরে আছেন। কিন্তু এ সংস্করণেও তাঁর জায়গা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অবশ্য বেন স্টোকস বিশ্বকাপ খেলতে আগ্রহী নন, এমন সংবাদের পর ম্যালানের সম্ভাবনা একটু বাড়ার কথা।

কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী ম্যালান এরই মধ্যে ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন। আপাতত ইয়র্কশায়ারের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার লম্বা করতে প্রথম শ্রেণি থেকে এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন। তবে এ সংস্করণেও ফেরার চিন্তা করছেন।

সেঞ্চুরির পর রুটের অভিনন্দন পান ম্যালান, সর্বশেষ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক ছিলেন তিনি

সব মিলিয়ে ম্যালান কী করতে চান, তা নিয়ে একটু বিস্মিতই হয়েছেন ইয়র্কশায়ারের প্রধান কোচ ওটিস গিবসন, ‘প্রথমে একটু বিস্মিত হয়েছিলাম। কারণ, আমার মনে হচ্ছিল, “তাহলে কি সে অবসরের কথা ভাবা শুরু করে দিয়েছে?” এরপর আবার বলছে, লাল বলে খেলতে চায়। ফলে সব মিলিয়ে আমার মনে হচ্ছিল, “কী করতে চাচ্ছে আসলে!”’

সেসব সরিয়ে রেখে ম্যালানকে অবশ্য স্বাগতই জানাবেন গিবসন। তাঁর দলের হয়ে ঠিক পূর্ণ মেয়াদে কোচিং করাবেন না ম্যালান। তাঁর কাজের প্রক্রিয়া কী হবে, সে ব্যাপারে ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ম্যালান বলেছেন, ‘রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অবসরে একটু কোচিং করাব, সপ্তাহে দু-তিন দিন ছেলেদের সহায়তা করব। প্রথম এবং দ্বিতীয় একাদশের হয়ে কাজ করব—যারাই সামনে থাকুক না কেন। নিজের অভিজ্ঞতা যদি একটু ভাগ করতে পারি, কেউ যদি চায়। দেখা যাক ক্রিকেট খেলা ছাড়ার পর এটি উপভোগ করি কি না।’

অবশ্য শীর্ষ পর্যায়ে এখনো খেলে যাওয়ার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন ম্যালান, ‘আমার মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং আমি পারফর্ম করে যেতে পারলে আরও দু-তিন বছর খেলা বাকি আছে। তবে বছরের এ সময়ে নিজেকে ভিন্ন একটি চ্যালেঞ্জ দিতে পারাটা রোমাঞ্চকর।’

আর ইংল্যান্ডে নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘এটা হলে কী হবে, এটা না হলে কী হবে, আমাকে আসলে মেনে নিতে হবে। ক্যারিয়ারের শেষ দু-তিন বছরে আমার পথটা এখন একটু আলাদা। যদি সুযোগ আসে, তো এল। যদি না আসে, তো না এল। পরিস্থিতি কেমন, সেটি দেখা দারুণ হবে। কিজির (কি) সঙ্গে কথা বলাটাও ভালোই হবে।’