বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন নাজমুল হোসেনকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন নাজমুল হোসেনকে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন

নাজমুল ৬, সাকিব ২

প্রতিপক্ষ কারা, ম্যাচ পরিস্থিতি কেমন ছিল—আজ সে আলোকেই সাজিয়েছি আমার রেটিং। স্বাভাবিকভাবেই জয়ী দলের রেটিং এক রকম হবে, হেরে যাওয়া দলের আরেক রকম হবে। কারণ, ম্যাচের পারফরম্যান্স কী ইমপ্যাক্ট রাখছে, সেটি অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। এ রেটিংয়ে কিছু খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে আমি একটু ব্যতিক্রম করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দিন ধরে খেলার অভিজ্ঞতা, দলে অবদানের কারণে লিটন দাস, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ নম্বর দেব।

লিটন দাস ২/১০

লিটনের শটগুলো গ্যাপ খুঁজে পায়নি। নয়তো রান আরেকটু বেশি হতো, আত্মবিশ্বাস পেত। আমার চোখে ও ২ নম্বরের বেশি পাবে না।

তামিম ইকবাল ৩/১০

সারা দিনই অসম বাউন্স দেখা গেছে, তামিমও আউট হয়েছে সে রকম বলেই। একটু দুর্ভাগ্যজনক, ওকে তাই ৩ দিচ্ছি। দল হেরেছে বলে অধিনায়কত্বের কারণে বাড়তি কিছু পাবে না। আর পুরো ৫০ ওভারে তার অধিনায়কত্ব ঠিক মনঃপূতও হয়নি। বিশেষ করে মোস্তাফিজকে এত পরে আনা, তাসকিনকে এতগুলো স্পেলে আনার সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

ভালো শুরুর পর বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তামিম

নাজমুল হোসেন ৬/১০

ওয়ানডেতে অনভিজ্ঞ। তবু কিছু ওভারপিচড ও শর্ট পিচড বলের ফায়দা তুলেছে ভালোভাবে। আমার প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছে। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় মোটামুটি বড় ইনিংস খেলেছে। ৭ দিতাম, তবে ম্যালানের মতো ইনিংস বড় করতে না পারার কারণে ১ নম্বর কেটে ৬ দেব।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন নাজমুল

মুশফিকুর রহিম ২/১০

সে আসার সময় দলের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। এমন চেনা উইকেটে তার ভুলটা বাজে ছিল। টার্নের বিপরীতে অমন শট খেলার কারণে ২-এর বেশি দিতে পারছি না।

সাকিব আল হাসান ২/১০

বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চোখে লাগার মতো আউট সাকিবেরটি। ৩০ ওভারের মতো বাকি থাকার পরও প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। বোলিংয়ে ১ উইকেট পেলেও সেটি এসেছে ওদের ওপেনারের ভুলে। বাড়তি কিছু করতে পারেনি। ফলে ২ নম্বরের বেশি পাবে না।

মাহমুদউল্লাহ ৩/১০

সে এমনিতেই চাপে আছে। তবে ব্যাটিং সাবলীল মনে হচ্ছিল, ইনিংস বড় করতে পারত। যে বলে আউট হলো, অমন শটে হয়তো চারও পেতে পারত। তার আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।

আফিফ হোসেন ২/১০

সে যখন আসে, দল ভালো একটা অবস্থান থেকে চাপে পড়ে গেছে। পিচ ও ইংল্যান্ড—দুটিই আসলে প্রতিপক্ষ ছিল। উইকেট কঠিন ছিল, পৃথিবীর কোনো ব্যাটসম্যানই এমন উইকেট পছন্দ করবে না। আফিফ যেমন উইকেটে স্বচ্ছন্দ, সে রকম তো নয়ই।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৫/১০

ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। তারপরও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করেছে, বিশেষ করে স্পেলের শেষ বলে মঈনকে আউট করে পরবর্তী বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল।

তাইজুল ইসলাম ৫/১০

ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছে, কিন্তু তেমন কিছু তো করার ছিলও না। তবে নতুন বলে ব্রেকথ্রু দিয়েছে। রান একটু বেশি দিয়ে ফেলেছে, যদিও দুর্ভাগ্য, বাঁহাতি ম্যালান ইনিংসের প্রায় অর্ধেকটা খেলে ফেলেছে। এরপরও ৩ উইকেট নিয়েছে, এত কম রান আটকাতে যেটি জরুরি ছিল।

৩ উইকেট পেলেও লো স্কোরিং ম্যাচ বিবেচনা খরুচে ছিলেন তাইজুল

তাসকিন আহমেদ ৫.৫/১০

ব্যাটিংয়ে হয়তো তার কারণেই রানটা ২০০-এর ওপরে গেছে। বোলিংয়ে ভালো স্পেল দেখেছি, বাটলারকে ওই সময়ে আউট না করলে ম্যাচটা একপেশে হয়ে যেত। তাকে ৫টি স্পেলে বোলিং করতে হয়েছে, এরপরও ইকোনমি রেট বেশ ভালো ছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান ২.৫/১০

এত পরে এসে বোলিং করতে হয়েছে বলে তাকে একটু দুর্ভাগাই বলা যায়। তবে এমন উইকেটে তার বোলিং নিয়ে আসলে আরও প্রত্যাশা থাকে। ওকে তাই ন্যূনতম নম্বরের চেয়ে সামান্যই বেশি দিচ্ছি।