২৪ বছর আগে চেন্নাইয়ে ক্ল্যাসিক এক টেস্ট ম্যাচের সমাপ্তি দেখেছিল এই দিন। পিঠের ব্যথা নিয়েও শচীন টেন্ডুলকার ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পরও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিল সাকলায়েন মুশতাকের দুসরা। ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানদের ‘সহায়তার’ কথা নাই–বা বললাম।
৪৭ বছর আগে এই দিন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অফ স্পিনার ল্যান্স গিবস মেলবোর্ন টেস্টে ইয়ান রেডপাথকে আউট করে ভেঙে দিয়েছিলেন ফ্রেড ট্রুম্যানের সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়ার রেকর্ডকে।
খুঁজলে এমন ক্রিকেটীয় স্মৃতি আরও অনেক আছে। তবে ১৩ বছর আগে এই দিনে পার্থে যা ঘটেছিল, তার তুলনা ক্রিকেট ইতিহাসে নেই।
অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচে টেলিভিশন ক্যামেরা আবিষ্কার করল, একজন ক্রিকেটার ‘ক্ষুধা’ সহ্য করতে না পেরে বলে কামড় বসিয়েছেন। ক্রিকেট বলের অনেক ব্যবহার হয়েছে, তবে ক্ষুণ্নিবৃত্তির জন্য এটাই প্রথম। ওই শক্ত গোলকটা যে এতটা উপাদেয়, তা শহীদ আফ্রিদির আগে কেউ বুঝতেই পারেননি। পরেও না। বল টেম্পারিংয়ে এর আগে–পরে হাতের নখ, বোতলের ছিপি, সিরিশ কাগজ... কত কিছুর ব্যবহারই না হয়েছে, তবে নিজের দাঁতের ব্যবহার সম্ভবত এই একবারই। কেমন দল–অন্তঃপ্রাণ ক্রিকেটার, ভাবা যায়!
আফ্রিদির ওই কাণ্ডের চেয়ে এ নিয়ে আঁকা কার্টুনটাও কম মজাদার নয়। টেলিভিশনে আফ্রিদিকে বল ‘খেতে’ দেখে সে সময়কার পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী আসিফ আলী জারদারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ফোন করেছেন, ‘ওবামাজি, আরও কিছু ফান্ড পাঠান। আমাদের মানুষজন অনাহারে আছে এবং ক্রিকেট বল খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।’