কয়েক দিন আগেও তাঁর বোলিং নিয়ে কাটাছেঁড়া হতো। ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর তো আর সেই সুযোগ নেই। এখন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড নিজেই ধারাভাষ্যকক্ষে, কাটাছেঁড়া করেন অন্যের বোলিং নিয়ে।
ব্রড নিজে ফাস্ট বোলার। তাই যেকোনো ফাস্ট বোলারের বোলিং বিশ্লেষণটা স্বাভাবিকভাবেই ভালো করার কথা তাঁর। পেসারদের দিকেই থাকার কথা আলাদা নজর। পেসারদের মধ্যে ব্রডের পছন্দ পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদিকে। পছন্দটা আবার মোটেই একতরফা নয়। আফ্রিদিও দেখতেন সদ্য অবসর নেওয়া ব্রডের বোলিং।
সর্বশেষ অ্যাশেজ দিয়ে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ব্রড। টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৬০৪) ক্যারিয়ার শেষ করলেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৪ নম্বরে থেকে। চলতি বছরে টেস্টে এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও (২৩) ব্রড। ফর্মের চূড়ায় থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলা ব্রড এখন ধারাভাষ্য দিচ্ছেন দ্য হানড্রেডে।
১০০ বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি ওয়েলস ফায়ারের হয়ে খেলছেন আফ্রিদি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে প্রথম ওভারেই দুটি ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারে দুটি উইকেট নেন। পরের ম্যাচেও নিয়েছেন ১ উইকেট।
সাইডলাইনে আফ্রিদির সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাঁর সহজাত স্কিলের প্রশংসা করেছেন ব্রড, ‘আফ্রিদি আমার পছন্দের বোলারদের একজন। যখন সে বোলিং করার জন্য ছুটে আসে, তার উপস্থিতি খুবই দুর্দান্ত। যে বোলারদের রানআপে শক্তি থাকে, তাদের দেখতে আমার ভালো লাগে। তার সহজাত স্কিলও দারুণ। যেভাবে আফ্রিদি ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে সুইং করায়, তা দেখাটা অসাধারণ। সে এমন একজন বোলার, আমি যার প্রশংসা করি, ভালো করা দেখতে চাই।’
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম বোলিং জুটি ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনের। ক্যারিয়ারে দুজন একসঙ্গে খেলে নিয়েছেন ১০৩৯ উইকেট। যা জুটি হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা একসঙ্গে খেলে নেওয়া ১০০১ উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। এই সময়ের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থক—প্রায় সবাই এই জুটির বোলিং দেখেছেন। আফ্রিদিও এর বাইরে নন। আফ্রিদিও ব্রডকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘যখন টেস্ট খেলা শুরু করি, আমি সব সময় আপনার (ব্রড) ও জেমস অ্যান্ডারসনের বোলিং দেখতাম।’