আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ৩৪ বছর বয়সী হেলস নিজের ক্যারিয়ার শেষ করলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হিসেবে।
গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁর সর্বশেষ ম্যাচ। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ থাকলেও তিনি খেলেননি। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১১টি টেস্ট খেলে ৫টি ফিফটিতে ৫৭৩ রান করেছেন। হেলস তাঁর সেরা ক্রিকেটটা খেলেছেন সাদা বলে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ৭০টি ওয়ানডে খেলে ৬ সেঞ্চুরি ও ১৪টি ফিফটিতে ২৪১৯ রান করেছেন। ৩৭.৭৯ গড় ও ৯৫.৭২ স্ট্রাইক রেট ছিল হেলসের। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন, ৩০.৯৫ গড় ও ১৩৮.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ২০৭৪ রান করেছেন। ১টি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটি ছিল হেলসের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে।
হেলস তাঁর অবসর নিয়ে বলেছেন, ‘নিজ দেশের হয়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে ১৫৬টি ম্যাচ খেলতে পারা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। আমি অনেক স্মৃতির অংশ হতে পেরেছি, অনেক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়েছি, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার মনে হচ্ছে, এখনই সরে যাওয়ার সঠিক সময়।’
এউইন মরগানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে সাদা বলের বিপ্লবের অংশ ছিলেন হেলস। শৃঙ্খলাজনিত কারণে জাতীয় দলের বাইরেও ছিলেন দীর্ঘদিন। হয়তো সে স্মৃতি স্মরণ করেই হেলস বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের হয়ে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা সময় কাটিয়েছি। কিছু সময় এমনও কেটেছে, যা ভালো ছিল না। তবে সফরটা দুর্দান্ত ছিল। আমি সন্তুষ্ট যে ইংল্যান্ডের হয়ে আমার শেষ ম্যাচটা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ, যে ম্যাচটা আমরা জিতেছি।’
৩৪ বছর বয়সী হেলসের চোখ এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি আগে থেকেই নিয়মিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অধ্যায় শেষ হওয়ায় এখন পুরোপুরি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারে পরিণত হবেন হেলস, ‘আমার উত্থান–পতনের এ যাত্রায় আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের অনেক সমর্থন পেয়েছি। ইংল্যান্ডের সমর্থকদের কথা বলব, তাঁরা অবশ্যই বিশ্বের সেরা সমর্থকগোষ্ঠী। আমি নটিংহামশায়ার ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার চেষ্টা করব।’