পাঁচ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি, দুটি ফিফটি। রান করেছেন ৩১৬, দুই ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন বলে গড় ১০৫.৩৩। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.২৯। এই হচ্ছে এবারের আইপিএলে ব্যাট হাতে বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স। এখন পর্যন্ত যিনি এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও।
কিন্তু তবু কোহলিকে নিয়ে সমালোচনা। কেন? কারণ, কোহলির স্ট্রাইক রেট নাকি টি-টোয়েন্টিসুলভ নয়। এই কোহলিকে ভারতের বিশ্বকাপ দলে রাখা উচিত কি না, সেই প্রশ্নও উঠে গেছে।
কোহলি সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৬ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে ৭২ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলার পর। সেদিন তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬৭ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্ম মন্থরতম। তাঁর সেই ইনিংসের পরেও সেদিন ম্যাচটা হেরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কারণ, রাজস্থানের হয়ে ৫৮ বলে ১০০ রান করে ম্যাচ বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন জস বাটলার। কোহলি দলের জন্য নয়, নিজের মাইলফলকের জন্য খেলছেন—এমন সমালোচনাও শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সামনে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইপিএলের পারফরম্যান্সের একটা প্রভাব থাকবে সেখানে থাকা না–থাকার বিবেচনায়। কোহলির মতো খেলোয়াড়দের অবশ্য শুধু আইপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে বিবেচনা করার কথা না। তাঁকে অটোমেটিক চয়েজ বলে মনে করা হয়। কিন্তু তারপরও সমালোচনা কম হচ্ছে না। টি-টোয়েন্টিতে এই স্ট্রাইক রেট কোহলির সঙ্গে মানানসই কি না, সেটা নিয়ে নানা মত আসছে।
এবার এ বিষয়েই নিজের মতটা জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে লারা বলেছেন, ‘একজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট নির্ভর করে মূলত তাঁর ব্যাটিং পজিশন ও ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর। ১৩০ কিংবা ১৪০ স্ট্রাইক রেট একজন ওপেনারের জন্য যথেষ্ট ভালো। মিডল অর্ডারে নামলে সেটা ১৫০ থেকে ১৬০ হওয়া উচিত। আইপিএলে আমরা দেখছি, ইনিংসের শেষ দিকে ২০০ স্ট্রাইক রেটে রান তুলছে ব্যাটাররা। কিন্তু কোহলি ওপেন করছে। তার মতো একজন ওপেনার ১৩০ স্ট্রাইক রেটে শুরু করলেও পরে ১৬০ বা তার চেয়েও বেশি স্ট্রাইক রেটে রান তোলার ক্ষমতা রাখে, যা ঠিক আছে।’
ভারতের বিশ্বকাপ দলে কোহলির থাকা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলেই মনে করেন লারা, ‘আমার মনে হয় বিরাট-রোহিত ওপেনিং জুটি ভারতের জন্য খুবই ভালো হবে। তবে আমি চাইব, শুরুতে একজন তরুণ থাকুক। মিডল অর্ডারে থাকুক একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তারা ইনিংসের আকার দেবে। শুরুতেই বিরাট-রোহিতের মতো অভিজ্ঞ কাউকে পাঠিয়ে দেওয়ার পর, তাদের মধ্যে কেউ যদি শুরুতেই আউট হয়ে যায়, তাহলে দল চাপে পড়ে যাবে। আমি বিরাট-রোহিত-গিলকে প্রথম তিনে দেখতে চাই।’