আম্পায়ার ওয়াইড দিয়েছেন, কিন্তু বোলার বা ফিল্ডারের বিশ্বাস, ওয়াইড হয়নি। আবার ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস ওয়াইড হয়েছে, কিন্তু আম্পায়ার তা দেননি। এ ধরনের ঘটনায় এত দিন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেই থেমে যেত হতো খেলোয়াড়দের।
তবে নতুন ব্যবস্থায় তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ এসেছে। ‘ওয়াইড’ এবং ‘নো বল’ বিষয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন খেলোয়াড়েরা। প্রথম টি–টোয়েন্টি লিগ হিসেবে ওয়াইড ও নো–তে রিভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে ভারতের উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল)। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলেও এ নিয়ে রিভিউয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
ডব্লিউপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন উদ্ধৃত করে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ‘একজন খেলোয়াড় অন–ফিল্ড আম্পায়ারের ওয়াইড অথবা নো বল সিদ্ধান্ত রিভিউ করার আবেদন জানাতে পারবেন।’
ওয়াইড, নো বলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য বাড়তি রিভিউ পাবে না দলগুলো। আগের মতোই প্রতিটি দল ইনিংসপ্রতি দুটি রিভিউর সুযোগ পাবে। এর মধ্যেই আউট, ওয়াইড, নো বল সব চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত। তবে লেগ বাই সিদ্ধান্তে রিভিউ চাওয়া যাবে না।
ডব্লিউপিএলের প্রথম ম্যাচেই নতুন ব্যবস্থার প্রয়োগ দেখা গেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস–গুজরাট জায়ান্টস ম্যাচে মুম্বাইয়ের স্পিনার সাইকা ইসহাকের একটি ডেলিভারিতে ওয়াইড সংকেত দেন আম্পায়ার। মুম্বাই রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল ব্যাটার মনিকা প্যাটেলের গ্লভসে লেগেছিল, যার প্রেক্ষিতে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়।
আইপিএলের গত কয়েকটি আসরে ‘নো বল’ সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিকবার উত্তপ্ত মুহূর্ত দেখা গেছে। ২০১৯ সালে চেন্নাই–রাজস্থান ম্যাচে আম্পায়ারের নো বল সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ডাগআউট থেকে মাঠে নেমে পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত বছর রাজস্থান–দিল্লি ম্যাচে কোমর উচ্চতার নো বলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋষভ পন্ত।