সেঞ্চুরির পর ভেঙ্কটেশ আইয়ার
সেঞ্চুরির পর ভেঙ্কটেশ আইয়ার

সেঞ্চুরি-খরা কাটার দিনেও কলকাতার হার মুম্বাইয়ের কাছে

কলকাতা নাইট রাইডার্স এই সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করেছে প্রায় ১৫ বছর। আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৮ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, এরপর থেকে কলকাতার দলটির হয়ে সেঞ্চুরি পাননি আর কেউ। ওয়াংখেড়েতে আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে সে খরা কাটালেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, তবে যথেষ্ট হলো না সেটিও। ঈশান কিষানের ঝোড়ো ফিফটি, সূর্যকুমার যাদবের ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে কলকাতার দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্য মুম্বাই পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট ও ১৪ বল বাকি থাকতেই।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কলকাতা ইনিংসে অবশ্য আইয়ারের ইনিংসটি ছাড়া তেমন কিছু ছিলও না। পুরো ইনিংসে হয়েছে ২২টি বাউন্ডারি, আইয়ার একাই এর মধ্যে মারেন ১৫টি (৬টি চার ও ৯টি ছয়)। একটা সময় পর্যন্ত কলকাতা ইনিংসের সব কটি বাউন্ডারিই ছিল আইয়ারের ব্যাটে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, নারায়ণ জগদিশানের পর নিতীশ রানা—কলকাতার প্রথম চার ব্যাটসম্যানের তিনজন মিলে ২৭ বল খেলে করেন মাত্র ১৩ রান।

মিডল অর্ডারে শার্দুল ঠাকুর ও রিংকু সিং আইয়ারকে সঙ্গ দিয়েছেন যথাক্রমে ২৮ বলে ৫০ ও ২৭ বলে ৩৬ রানের জুটিতে। আইয়ার ফিফটি পূর্ণ করেন ২৩ বলে। কলকাতার তৃষিত সেঞ্চুরিটি আসে ইনিংসের ১৭তম ওভারে। ডুয়ান ইয়ানসেনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেটি পান আইয়ার, সেটিও মাত্র ৪৯ বলেই। পরের ওভারেই রাইলি মেরেডিথের বলে ক্যাচ দিয়ে তাঁকে ফিরতে হয়, ৫১ বলে ১০৪ রান করে। আইয়ারের পর আন্দ্রে রাসেলের ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ পর্যন্ত যায় কলকাতা।

মুম্বাইয়ের হয়ে এদিন আইপিএল অভিষেক হয় দুজনের—শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার, দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মার্কো ইয়ানসেনের যমজ ভাই ডুয়ানের। আইপিএলে এই প্রথম বাবার পর ছেলে ও যমজ ভাইয়ের খেলার ঘটনা ঘটল। অর্জুন অবশ্য করেন মাত্র ২ ওভার, ১৭ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। আর ৪ ওভারে ৫৩ রানের খরুচে বোলিংয়ে ইয়ানসেনের প্রাপ্তি ১ উইকেট।

ম্যাচের মাঝপথেও কলকাতার স্কোরটিকে ভালোই মনে হচ্ছিল। অবশ্য ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে আসা মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কিষান ঝড় তোলেন শুরু থেকেই। পেটের পীড়ায় এ ম্যাচে খেলছেন না, টসের সময় রোহিতকে নিয়ে এমন বলেছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সূর্যকুমার।

ফিল্ডিং না করলেও ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে নামেন রোহিত শর্মা

রোহিত নামেন ঠিকই, কিষানের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে ৪.৫ ওভারেই ওঠে ৬৫ রান। ১৩ বলে ২০ রানের ইনিংসের পথে একটা রেকর্ডও গড়েন রোহিত। আইপিএলে কোনো একটি দলের বিপক্ষে এখন সর্বোচ্চ রান তাঁরই—কলকাতার বিপক্ষে ১০২৯। তিনি ছাড়িয়ে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে করা শিখর ধাওয়ানের ১০১৮ রানের রেকর্ড।

রোহিত ও কিষানের গড়ে দেওয়া ভিত মুম্বাইয়ের পরের ব্যাটসম্যানরা কাজে লাগান দারুণভাবে। ২১ বলে ফিফটি করা কিষান থামেন ২৫ বলে ৫৮ রান করে। মাঝে তিলক বর্মা ২৫ বলে ৩০ রান করে ফিরলেও সূর্যকুমার ও টিম ডেভিডের (১৩ বলে ২৪) ব্যাটিংয়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি মুম্বাইয়ের। আগের ৩ ইনিংস মিলিয়ে ১৬ রান করা সূর্যকুমার অবশেষে রানের দেখা পেলেন।