ভারতের হয়ে একসঙ্গে ৩৪ ম্যাচ খেলেছেন কপিল দেব (ডানে) ও অংশুমান গায়কোয়াড়
ভারতের হয়ে একসঙ্গে ৩৪ ম্যাচ খেলেছেন কপিল দেব (ডানে) ও অংশুমান গায়কোয়াড়

কপিলদের আহ্বানের পর ক্যানসার-আক্রান্ত গায়কোয়াড়কে ১ কোটি রুপি দিচ্ছে বিসিসিআই

ক্যানসার আক্রান্ত সাবেক ভারত ব্যাটসম্যান অংশুমান গায়কোয়াড়ের চিকিৎসা সহায়তায় ১ কোটি রুপি (প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কপিল দেব ও সন্দীপ পাতিল সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পর এমন ঘোষণা দিল বিসিসিআই।

ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত সাবেক ব্যাটসম্যান ও কোচ গায়কোয়াড়ের চিকিৎসা চলছে লন্ডনে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলা ৭১ বছর বয়সী পরবর্তী সময়ে ভারত জাতীয় দলের নির্বাচক ও কোচও হয়েছিলেন।

গায়কোয়াড়কে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়ে বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জয় শাহ (বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি) বিসিসিআইকে অবিলম্বে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা অংশুমান গায়কোয়াড়ের আর্থিক সহায়তায় ১ কোটি রুপি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’

২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের আগে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে অংশুমান গায়কোয়াড় (ডানে)

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গায়কোয়াড়ের পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে শাহ কথা বলেছেন এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই সংকটাপূর্ণ মুহূর্তে বোর্ড গায়কোয়াড়ের পরিবারের সঙ্গে আছে। গায়কোয়াড়ের দ্রুত সেরে উঠতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। গায়কোয়াড়ের উন্নতি বিসিসিআই পর্যবেক্ষণ করবে এবং তিনি এ পরিস্থিতি থেকে ভালোভাবে বেরিয়ে আসবেন বলে আত্মবিশ্বাসী।’

গায়কোয়াড় এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। সম্প্রতি তাঁকে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তাঁর সাবেক সতীর্থ সন্দীপ। ফিরে এসে গায়কোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভারতীয় দৈনিক মিড–ডেতে কলাম লেখেন তিনি। সন্দীপ লেখেন, লন্ডনে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা গায়কোয়াড়ের পরিবারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর পরিবার আর্থিক সংকটে পড়েছে।

এদিকে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও গায়কোয়াড়ের আরেক সতীর্থ কপিল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক। অংশুর অসুস্থতার খবরে ব্যথিত। কারণ, আমি তার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তাকে এই অবস্থায় দেখার ব্যাপারটি সহ্য করতে পারছি না। আমরা তার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। পরিবার চাইলে পেনশনের টাকা দিয়ে দিতে পারি।’