তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন ওঠে তাঁর ধারাবাহিকতা নিয়েও। তবে পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামান যে ওয়ানডে দলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোধ হয় আরও একবার প্রমাণ করলেন। করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর ধাক্কা সামলে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন ২৮০ রানের সংগ্রহ। ওয়ানডেতে এটি ফখরের অষ্টম সেঞ্চুরি। তবে ফখরের এই ইনিংস ম্লান হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস ঝড়ে। তাঁর ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজ জিতেছে ২–১ ব্যবধানে।
পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসটাকে সম্ভবত তিনভাগে ভাগ করা যায়। যার শুরু আর শেষটায় কিছুটা মিল আছে, মাঝের অংশটাতে লেখা হয়েছে ভিন্ন গল্প। গতকাল করাচিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৭ ওভারেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। যার একটি উইকেট বাবর আজমের।
সর্বশেষ ১০ ইনিংসে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার ৫০ রানের নিচে আউট হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ৪ রানে ফিরেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্পিং হয়ে। এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই স্টাম্পিং হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। অথচ এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে মাত্র একবার স্টাম্পিং হয়েছিলেন বাবর।
রানের খাতা খুলতেই পারেননি ২০১৯ সালের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নামা শান মাসুদ। তবে এরপর ফখর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৫৩ রানের জুটি পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরায়। ১২০ বলে শতকের দেখা পান ফখর। ওয়ানডে ক্রিকেটে ফখরই পাকিস্তানের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার গড় ৪৫–এর ওপর আর ৯০–এর বেশি স্ট্রাইক রেট। রিজওয়ান খেলেছেন ৭৪ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।
তবে পাকিস্তান আবারও ছন্দ হারায় ৩৪তম ওভারে ইশ সোধির গুগলির ফাঁদে পড়ে রিজওয়ান আউট হলে। ১০১ রান করে ফখর ফেরেন রানআউটে কাটা পড়ে। রানআউট হন আরেক ব্যাটসম্যান হারিস সোহেলও। লকি ফার্গুসনের বাউন্সার হেলমেটে লাগলে কনকাশন সাব হিসেবে হারিসের জায়গায় মাঠে নামতে হয় কামরান গুলহামকে।
হারিসের বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে নামেন তিনি। শেষদিকে সালমান আগার ৪৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে পাকিস্তান রানটা তিন শর কাছাকাছি নিয়ে যায়। টিম সাউদি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তাড়া করতে নেমে ৪৩ রানের জুটি গড়েন কিউই দুই ওপেনার। ২৫ রান করে ফিন অ্যালেন রানআউট হলেও কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসন সে ধাক্কা সামালে নেন। কনওয়ে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন সালমানের বলে।
কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামসনদের ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই থাকে নিউজিল্যান্ড। তবে ম্যাচ জমে ওঠে ৫৩ রান করে কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন রান আউট হলে। তবে ফিলপস–ঝড় নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।