সিরিজ নির্ধারণী টি–টোয়েন্টিতে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ
সিরিজ নির্ধারণী টি–টোয়েন্টিতে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কায় নারী দলের সিরিজ হার

শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশ নারী দলের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জেতার পর নিগার সুলতানাদের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে স্বাগতিকেরা ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দুটি জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। আজ সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা নারী দল ৩ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল। জবাবে বাংলাদেশের মেয়েরা ৭ উইকেট হারিয়ে থেমেছে ১১৪ রানে। রান তাড়ার দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রাবেয়া হায়দারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার ফারজানা হক কিছুটা সময় নিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইনিংসের সপ্তম ওভারে ২০ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ২ উইকেট ৩২।

জেতার জন্য দরকার ছিল দ্রুত রান করা। সোবহানা মোস্তারি, নিগার সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুনেরা সেটি করতে পারেননি। লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। সোবহানা ২৫ বলে ৩০ রান করেছেন। নিগারের ৩১ রান এসেছে ৩৩ বলে। দুজনের মন্থর ব্যাটিং বাংলাদেশের রানটা শুধু এক শর ওপারে নিতে সাহায্য করেছে।

অথচ লঙ্কান ব্যাটিংয়ের ছবিটা ছিল ভিন্ন। ব্যাটিং পাওয়ার–প্লে মানেই শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তুর দাপট। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজজুড়ে সেটাই দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে ৩৮ রান, দ্বিতীয়টিতে ৩৩ রানের ইনিংসের পর আজ তাঁর ব্যাট থেকে এলো ৩২ রানের ইনিংস।

ইনিংসগুলো বড় না হলেও ইনিংসের শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট ছিল। আজ তিনি ৩২ রান করেছেন ২৩ বল খেলে। ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল ১৩৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে।

এরপর পঞ্চম ওভারে আতাপাত্তু আউট হলেও মাঝের ওভারে নিজেদের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেছেন হার্শিথা সামারাবিক্রমা ও নীলাক্ষী ডি সিলভা। দুজনই ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন।

তিনে নামা হার্শিথার ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ বলে ৫১ রান, ৬টি চার ছিল তাতে। লঙ্কান ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬৩ রান এসেছে নীলাক্ষীর ব্যাট থেকে। সেটিও মাত্র ৩৯ বলে। ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল নীলাক্ষীর ১৬১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে।

দুজনের ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে ১৫৮ রানে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের তিন স্পিনার রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট নিয়েছেন। খরুচে বোলিং করেছেন পেসার জাহানারা আলম। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।