৮ বছর পর আইপিএলে ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক। তা-ও আইপিএল নিলামের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে—এই দামে তাঁকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা বেশি হওয়াই স্বাভাবিকই। তবে স্টার্ক প্রথম দুই ম্যাচে প্রত্যাশা তো মেটাতে পারেনইনি, উল্টো রীতিমতো হতাশ করেন। প্রথম দুই ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ১০০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
কিন্তু গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে স্টার্ক উইকেট পেয়েছেন। হাই স্কোরিং ম্যাচে ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে স্টার্ক নিজের বাজে শুরু নিয়ে ভাবছেন না। অস্ট্রেলিয়ান পেসার খুশি দলের দারুণ শুরুতে। তিন ম্যাচের সব কটিই যে জিতেছে তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ম্যাচের পর নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খেলা সম্প্রচারকারী টিভিতে প্রথম দুই ম্যাচে ভাগ্যকে খুব একটা পাশে না পাওয়ার কথাই বলেছেন স্টার্ক। তাঁর ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের সবারই কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ হয়নি কয়েকবার, দু-একটি ক্যাচ পড়েছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনই। আপনার খুব দ্রুতই এসব থেকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, একটির পর একটি ম্যাচ আসতেই থাকে।’
স্টার্ক যোগ করে বলেন, ‘হ্যাঁ, যেমন শুরু চেয়েছিলাম তেমনটা পাইনি। তবে আমরা ম্যাচ জিতছি, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিন ম্যাচের তিনটিই জিতেছি আমরা। আজকে (গতকাল) আমরা ব্যাট-বলে দুর্দান্ত ছিলাম মনে হয়।’
এই মৌসুমে আইপিএলে ফিরে নিজের প্রথম ম্যাচে স্টার্ক খরচ করেন চার ওভারে ৪৭ রান। পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রান দেন আরও বেশি—৪ ওভারে ৫৩। গতকালও প্রথম ওভারে খরচ করেন ১১ রান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে ফেরান স্বদেশি মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে।
স্টার্ক কাল মনে করিয়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মাঝেমধ্যে নিষ্ঠুর হতে পারে, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কখনো কখনো খুব নিষ্ঠুর হতে পারে, বিশেষ করে বোলারদের জন্য। আমার মনে হয় কিছু কিছু মাঠে এমন কিছু স্কোর আমরা দেখেছি… ভাগ্যের কিছুটা সহায়তা তাই মাঝেমধ্যে দরকার পড়েই। মৌসুমের শুরুতে তিন ম্যাচের সব কটি জিতেছি আমরা, আজকে ব্যাট-বলে নিখুঁত ছিলাম। ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো পাশে রাখলে, দলের শুরুটা তো দুর্দান্ত।’
গতকাল অবশ্য স্টার্ক কলকাতার নিখুঁত ম্যাচের প্রধান চরিত্র ছিলেন না। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৯ বলে ৮৫ রান করে ম্যাচটা অনেকটা একাই শেষ করে দিয়েছেন সুনীল নারাইন। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭২ রান তুলেছিল কলকাতা। তাড়া করতে নেমে ১৬৬ রানে অলআউট হয় দিল্লি।