অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন, কিন্তু অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের বিচারে বাবর আজম এখনো পাকিস্তানের দলের একজন নেতা। নতুন টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদও বলেছিলেন, বাবর অধিনায়ক না থাকলেও দলের নেতাই থাকবেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে পাকিস্তানের অনুশীলন ক্যাম্পে বাবর যেন আরও একবার ‘অধিনায়ক’ হয়েই উঠলেন। অনুশীলন ক্যাম্পে সতীর্থদের উদ্দেশে কথা বলেছেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নতুন কোচিং স্টাফদের সবাই।
বাবর দলে সবার সঙ্গে কথা বলছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর ছেপেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোও। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এই প্রথম বাবরের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল।
সতীর্থদের উদ্দেশে বাবর বলেছেন, ‘দলে প্রায় আগের সব ক্রিকেটারই আছে। নতুন ছেলেদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর দারুণ একটা সুযোগ। এটা শান মাসুদের জন্যও বড় সুযোগ। যেখানে যাই না কেন, আমাদের চেষ্টা থাকে দাপট দেখানোর। ওখানে এমন নয় যে আমরা দাপট দেখাতে পারব না। আমরা পারব, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমরা নিজেদের কৌশলে দাপট দেখাব।’
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেট পরিচালক হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনিই দলের প্রধান কোচ। এ ছাড়া পেস বোলিং কোচ হিসেবে আছেন উমর গুল, স্পিনারদের দায়িত্বে সাঈদ আজমল। বাবর মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার তাঁদের খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কাজই করি না কেন, আমরা একতাবদ্ধ। মোহাম্মদ হাফিজ, উমর গুল ও সাঈদ আজমলের অভিজ্ঞতা কাজে দেবে। হুট করেই সব পাওয়া যায় না, অভিজ্ঞতা থেকে আসে। আমরা যত বেশি একে অন্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেব, ততই আমাদের উপকার হবে।’
গতকাল অনুশীলনের ছবি দিয়ে একটি টুইটও করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। এক্সে টুইট করে বাবর লিখেছেন, ‘সবকিছু সহজ-সরল রাখো।’ বন্ধু ইমাম-উল-হকের মেহেদি অনুষ্ঠানেও সতীর্থদের সঙ্গে বাবরকে খুব নির্ভার দেখা গেছে।
বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে সরেও যেতে হয় বাবরকে। বাবরের বিদায়ে দলের টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মাসুদ এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে শাহিন আফ্রিদিকে।
পার্থে ১৪ ডিসেম্বর শুরু ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। পরের দুটি টেস্ট শুরু ২৬ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি। এই সিরিজটি পাকিস্তানের জন্য কঠিনই হতে যাচ্ছে। এর আগে পাকিস্তান কখনো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতেনি।