নাগপুর টেস্টে আসলে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স ভুলে যাওয়ার মতোই। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারতে এসে শেষ পর্যন্ত কিনা প্রথম টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হার, তা–ও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে!
দুই ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিংয়ের কোনো জবাবই ছিল না অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের। দাঁড়াতেই পারেননি কেউ। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে বিস্তর। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যর্থতার মধ্যেই একজন ব্যাটসম্যানের শট নির্বাচন নিয়ে আলাদা করে সমালোচনা হচ্ছে—অ্যালেক্স ক্যারি।
নাগপুরে দুই ইনিংসেই ক্যারি একইভাবে আউট হয়েছেন। সেটি রিভার্স সুইপ করে। বিশ্লেষকেরা দুই ইনিংসে ক্যারির একইভাবে ফেরাটাকে দৃষ্টিকটুই বলছেন। বলছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অবশ্য রিভার্স সুইপ খেলা নিয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, এটা এমন একটা শট, যেটি খেলে কেউ কখনো সাফল্য পাবে, কখনো পাবে না। তবে ক্যারি আপাতত কিছুদিনের জন্য এই শট খেলা থেকে বিরতই থাকবেন। কারণ, রিভার্স সুইপ খেলতে নাকি মানা করেছেন তাঁর স্ত্রী।
নাগপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারি রানের খাতা খুলেছিলের রিভার্স সুইপ দিয়েই। ব্যাটিংও করেছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। ৩৩ বলে ৩৬ করে তিনি আউট হন রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েই। এই ইনিংসে অবশ্য তিনি রিভার্স সুইপ করে দুটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন।
রিভার্স সুইপ নিয়ে স্ত্রীর মতামতকে ক্যারি বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন, ‘দুই ইনিংসেই আমি রিভার্স সুইপ খেলে আউট হয়েছি। প্রথম ইনিংসে প্রয়োগে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়ের মধ্যে আমি চেয়েছিলাম অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্নভাবে খেলতে। এই শটটা (রিভার্স সুইপ) কখনো আপনাকে সাফল্য এনে দেবে, কখনোবা ব্যর্থতার কারণ হবে। দুইয়ের মধ্যে একটা ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে। আমার স্ত্রী এই শট একেবারেই পছন্দ করে না। সে অনেকবারই আমাকে এটি খেলতে নিষেধ করেছে। এবার হয়তো বেশ কিছুদিন আমি এই শট খেলব না।’