বেঙ্গালুরুর পর পুনে—একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ভারত দলে সাম্প্রতিক সময়ে বিরল হয়ে ওঠা ব্যাটিং ধস। এর ফলও পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। বেঙ্গালুরুর পর পুনেতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে গেছে তারা। ঘরের মাঠে প্রায় এক যুগ পর সিরিজ হারল ভারত।
এই হারের পর ভারত দলকে নিয়ে চলছে নানা রকম কাটাছেঁড়া। বেশি কাটাছেঁড়াই হচ্ছে ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপের ব্যর্থতা নিয়ে। কেউ কেউ বোলিংয়ের সমালোচনাও করছেন। এর মধ্যেই ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মদন লাল মুখর হয়েছেন পিচের সমালোচনায়।
যে দল ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য, সেই ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে এভাবে ধসে পড়ায় একটু বিস্মিতই হয়েছেন মদন লাল, ‘ঘরের মাঠে আমরা সাধারণত সিরিজ জিতি। এর কারণ কন্ডিশন আমাদের সহায়তা করে। পিচ আমাদের খেলার স্টাইলের সঙ্গে মানানসই এবং আমরা এখানে ব্যাটিং করতে বা খেলতে অভ্যস্ত। আবহাওয়ার সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত।’
এটুকু বলার পরই বেঙ্গালুরু ও পুনের পিচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মদন লাল, ‘আমাদের নিজেদেরই দুষতে হবে। এ ধরনর পিচ তৈরি করার কোনো কারণ নেই। আমি জানি না, কে এমন পিচ বানাতে বলেছে—এটা কি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত, নাকি অন্য কারও।’
ভারতের বোলিং আক্রমণে সম্প্রতি গতির সম্ভার বেড়েছে। সঙ্গে আছে মানসম্পন্ন স্পিনারও। এরপরও শ্লথ ও নিচু বাউন্সের পিচ বানানো নিয়ে মদন লাল বলেছেন, ‘শক্তিশালী পেস আক্রমণ এবং সেরা স্পিন আক্রমণ নিয়ে আপনার নিখুঁত একটি দল আছে। এরপরও আমরা এই ধরনের পিচ বানাচ্ছি আর নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পড়ছি। ভালো উইকেটে নিশ্চিত করেই আমরা টেস্ট ম্যাচ জিততাম।’
বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রান করলেও নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে। পুনেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবার ধস নামে ভারতের ব্যাটিংয়ে। নিউজিল্যান্ডের ২৫৯ রানের জবাবে অলআউট হয় তারা ১৫৬ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে তোলার পর নামে ধস—৭১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ১ উইকেটে ৯৬ থেকে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৬৭ রান।
পিচের সঙ্গে তাই মদন লাল দায় দেখছেন ব্যাটসম্যানদেরও। বিশেষ করে ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আরেকটা কারণ হচ্ছে এই যে আমরা যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমাদের টপ অর্ডার পারফর্ম করতে পারেনি।’