দ্বিতীয় দিন থেকেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল সিলেট বিভাগ। চতুর্থ ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগের ছুড়ে দেওয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেট ২ উইকেটে ১৩০ তুলে ফেলে। আজ তৃতীয় দিনে জয়ের জন্য জাকির হাসানদের দরকার ছিল ৯০ রান। পিনাক ঘোষের ফিফটিতে সে রানটা ৬ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় সিলেট। ম্যাচসেরা দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নেওয়া পেসার রেজাউর রহমান। বিকেএসপিতে দিনের আরেক ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ঢাকা বিভাগের ওপেনার আশিকুর রহমান। সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন এনামুল হক। বরিশালের বিপক্ষে এনামুলের ৯৫ রানের সৌজন্যে খুলনা বিভাগ ৯ উইকেটে ৪০৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
প্রথম রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সিলেটের ম্যাচটা ড্রতে শেষ হয়। ঘরের মাঠের ম্যাচে ফল বের করতে না পারা ছিল দলটির জন্য হতাশার। দ্বিতীয় রাউন্ডে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে সিলেট। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটিতে সিলেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দলে থাকা জাকির হাসান। এক দিন আগেই খেলা শেষ হওয়ায় আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে দলের সঙ্গে থাকছেন জাকির। দলের ম্যানেজার ওয়াসিকুজ্জামান বলেন, ‘ওর টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাকিরের চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার কথা।’
যদিও ব্যাট হাতে খুব একটা সফল ছিলেন না তিনি। প্রথম ইনিংসে জাকির ১৩ রানে আউট হয়েছেন, তাঁর দল চট্টগ্রামের ১৯৮ রানের জবাবে সব উইকেট হারিয়ে করেছে ১৫২ রান। ৪৬ রানের লিড পাওয়া চট্টগ্রাম তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রান করলে চতুর্থ ইনিংসে সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২০ রান। জাকির উদ্বোধনে নেমে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। আরেক ওপেনার তৌফিক খান ৩৮ বলেই করেছেন ৫১ রান। ওয়ানডাউনে নামা পিনাক ঘোষ ৬২ রানে অপরাজিত থেকে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলা আশিকুর রহমানের সেঞ্চুরিতে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ৭৪ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। রংপুরকে ২৫৩ রানে অলআউট করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঢাকা সব উইকেট হারিয়ে করেছে ৩২৭ রান। আশিকুর ১৮৬ বলে করেছেন ১২৯ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আশিকুর। জয়রাজ শেখের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রানের ইনিংস। শেষ বেলায় রংপুর আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮ রান তুলতে হারিয়েছে ২ উইকেট। তৃতীয় দিন শেষে ৪৬ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা।
আগের দিন ৬৩ রানে রান আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। আজ অমিত মজুমদার (৬৭) ও শেখ মেহেদী হাসান (৬৩) থামলেন ৬০-এর ঘরে। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল এনামুল হকের। তিনি ব্যক্তিগত ৯৫ রানের সময় মঈন খানের বলে সোহাগ গাজীর কাছে ক্যাচ তুলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪তম সেঞ্চুরিটি হাতছাড়া করেন। তবে চার ফিফটির সৌজন্যে খুলনা বিভাগ বড় রান পেয়ে যায়। ৯ উইকেটে ৪০৮ রানে প্রথম ইনিংসে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। বরিশাল বিভাগের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম। বরিশাল দিনের শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেছে ২৮ রান।