৪৩ বলে ৮৬ রান করেছেন শামীম হোসেন
৪৩ বলে ৮৬ রান করেছেন শামীম হোসেন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

শামীমের ৮ ছক্কায় ৪৩ বলে ৮৬, রিশাদের ৫ উইকেট

শামীম হোসেনের ৪৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে জিতেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দিনের অন্য দুই ম্যাচে জিতেছে ব্রাদার্স ও গাজী টায়ার্স।

শামীম-তৌফিকের ঝড়ে লিজেন্ডসের বড় জয়

বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল বোধ হয় তৌফিক খান ও শামীম হোসেনের! এ দুই ব্যাটসম্যানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই যে আজ ফতুল্লায় পারটেক্সের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য ২৫.৩ ওভারেই পেরিয়ে গেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দলটির ওপেনার তৌফিক ৬৬ বলে ৮৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও শামীম অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৮৬ রান করে। ৭ উইকেটের এই জয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচে পঞ্চম জয় পেল লিজেন্ডস।

রান তাড়ায় লিজেন্ডস ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন তৌফিক ও শামীম। তৃতীয় উইকেটে ৬৮ বলে ১১৬ রান যোগ করেন দুজন। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রান করে তৌফিক আউট হওয়ার সময় লিজেন্ডসের দরকার ছিল ১২ রান। জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান শামীম পরের ওভারে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন দলের। ইনিংসে এটি ছিল শামীমের অষ্টম ছক্কা। ৩২ বলে ৫০ ছোঁয়া শামীম পরের ১১ বলে করেন ৩৬ রান।  

৩ উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম (বাঁয়ে), তৌফিক করেছেন ৮৩ রান

এর আগে পারটেক্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান। রানআউট হওয়ার আগে ৯১ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন পারটেক্স অধিনায়ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পারটেক্স: ৪৭.২ ওভারে ১৯১ (মিজানুর ৮৮, তানভীর ৩৬; শুভাগত ৩/২৪, শহীদুল ৩/২৯)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২৫.৩ ওভারে ১৯৫/৩ (শামীম ৮৬*, তৌফিক ৮৩; রকিবুল ২/৪০)।
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শামীম হোসেন।

রিশাদের ৫ উইকেট, তবু ব্রাদার্সের কাছে হার শাইনপুকুরের

৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি রিশাদ হোসেন

শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিস্ফোরক ব্যাটিং দিয়ে হইচই ফেলা রিশাদ হোসেনের মূল কাজটা লেগ স্পিন বোলিং। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ সেই কাজটা ভালোভাবেই করেছেন শাইনপুকুরে খেলা রিশাদ। ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৯ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৫ উইকেট পেলেন রিশাদ। তবে আজ জেতেনি রিশাদের দল। ব্রাদার্সের কাছে হেরেছে ২৬ রানে। লিগে ছয় ম্যাচে শাইনপুকুরের এটি তৃতীয় হার, অন্যদিকে সমান ম্যাচে ব্রাদার্স পেয়েছে দ্বিতীয় জয়।

ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক আবদুল মজিদ। এই ওপেনার ১৩৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৯৫ রান। ব্রাদার্স ৫০ ওভারে করে ৯ উইকেটে ২২২ রান। রান তাড়ায় ৪৯ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট শাইনপুকুর। ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান। তিনে নেমে ৩১ বলে ৯ রান করেন রিশাদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ব্রাদার্স: ৫০ ওভারে ২২২/৯ (মজিদ ৯৫, মাহমুদুল ৩৬, রাহাতুল ৩২; রিশাদ ৫/৪৯, আরাফাত ২/২৬)।
শাইনপুকুর: ৪৯ ওভারে ১৯৬ (তানজিদ ৪১, মেহেরব ৩৬, জাওয়াদ ২৯; রহমতউল্লাহ ৩/৩০, মনির ৩/৪০, জায়েদ ২/২৮)।
ফল: ব্রাদার্স ২৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবদুল মজিদ।

গাজী টায়ার্সের প্রথম জয়, ম্যাচসেরা তাহজিবুল

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয়হীন সিটি ক্লাব ও গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি। সেই ম্যাচটা ৩৮ রানে জিতে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে গাজী টায়ার্স। গাজী টায়ার্স অলআউট ২১৪ রানে। রান তাড়ায় সিটি ক্লাব ৪৯ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করে ১৭৬ রান।

গাজী টায়ার্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮৫ রান তাহজিবুল ইসলামের। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ১২০ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। রান তাড়ায় সিটির অধিনায়ক সাজ্জাদুল করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজী টায়ার্স: ৪৯.৪ ওভারে ২১৪ (তাহজিবুল ৮৫, আশিকুর ৪৫; মঈনুল ৩/৩৭, মেহেদী ৩/৫৫, ইফরান ২/৫১)।
সিটি ক্লাব: ৪৯ ওভারে ১৭৬ (সাজ্জাদুল ৫০, শাহরিয়ার ৪০; আরিদুল ৪/৩৩, মারুফ ২/৩৩)।
ফল: গাজী টায়ার্স ৩৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাহজিবুল ইসলাম।