বাংলাদেশের জার্সির রং লাল-সবুজ। সে জন্যই সম্ভবত নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’। লাল-সবুজের এই গল্পে আজ এলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে নাজমুলের গল্পই উপস্থাপন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২ জুন (বাংলাদেশ সময়) থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল। এ বিষয়ে তাঁর উপলব্ধি, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। তারপর যদি বিশ্বকাপের মতো আসরে এ ধরনের সুযোগ আসে, তাহলে সেটি অনেক গর্বের ব্যাপার।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে নাজমুল বলেছেন, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও (প্রশ্নকর্তাকে) চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কি না—এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই। তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’
অধিনায়ক হিসেবে নিজের লক্ষ্যও জানিয়েছেন নাজমুল, ‘এ সময়টা উপভোগ করতে চাই। দলের জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু করতে চাই। যে দায়িত্ব আছে, সেটা ঠিকভাবে পালন করতে চাই। অধিনায়ক হওয়ায় দায়িত্ব বেড়ে গেছে—এভাবেও ভাবতে চাই না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। প্রতিদিন দলকে যেন কিছু একটা দিতে পারি, এটাই মূল লক্ষ্য থাকবে।’
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন বাংলাদেশ দলে। দলে এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকাকে অনেক বড় সুবিধা বলেই মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট মনে হয় আমার কাছে। এমন ক্রিকেটার যখন দলে থাকে, বিশেষ করে যাঁরা তরুণ, অনেকেই আছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন—তাঁদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেবে মনে হয়। পাশাপাশি তাঁদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তাঁরা করবেন এবং এখন সেটাই করছেন। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’
অধিনায়ক হিসেবে নাজমুলের আলাদা করে চাওয়া কিছু আছে কি না—এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিবকে টেনেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আলাদাভাবে যদি বলেন, আমি বলব যে সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি গত বছরগুলোয় যে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, সেসব তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং এরই মধ্যে সেটা তিনি করছেন।’
নাজমুল জানিয়েছেন, দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘অনেক ভালো করা’ই লক্ষ্য বাংলাদেশের। তবে শিরোপা জয়ের কথা ভেবে শুরুতেই চাপ না নিয়ে ‘প্রসেসটা ধরে রাখতে’ চান নাজমুল। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা যদি ছোট ছোট বিষয়গুলো সামলাতে পারি, তাহলে সম্ভবত ভালো ফল পাব।’
ডালাসে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ।