সেঞ্চুরির পর তানজিদ হাসান
সেঞ্চুরির পর তানজিদ হাসান

বিপিএল

তানজিদের সেঞ্চুরির পর প্লে-অফে চট্টগ্রাম, খুলনার ‘বিদায়’

জিতলেই নিশ্চিত প্লে–অফ—এ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সমীকরণ ছিল এমন। অন্যদিকে টিকে থাকতে হলে খুলনা টাইগার্সকে জিততে হতো। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেই খুলনাকে ৬৫ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম। তানজিদ হাসানের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম তুলেছিল ৪ উইকেটে ১৯২ রান। সে রান তাড়ায় খুলনা আটকে গেছে ১২৭ রানেই।

এ ম্যাচ হেরে কার্যত প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল খুলনা। শেষ ম্যাচে যদি তারা সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারায়, অন্যদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হারে ফরচুন বরিশাল—তবু নেট রানরেটে খুলনার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে তানজিদের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যান ৭ বল খেলে করেন ১ রান। সৈকত আলীকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরপর তানজিদ যোগ করেন ৩৭ বলে ৫৬ রান। পাওয়ারপ্লেতে চট্টগ্রাম তোলে ৪৯ রান।

তানজিদের সেঞ্চুরি এবারের বিপিএলে তৃতীয়

অষ্টম ওভারে সৈকত ফিরলেও তানজিদ শট খেলে যান। ৩২ বলে ফিফটি করার পর সেঞ্চুরিতে যেতে তাঁর লাগে ৫৬ বল। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ওয়েইন পারনেলের বলে বোল্ড হয়ে তানজিদ থামেন ৬৫ বলে ১১৬ রান করে, যে ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি করে চার ও ছক্কা। এবারের বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি, আগের দুটি করেছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও উইল জ্যাকস। এ ইনিংসের পথে অবশ্য হৃদয়কে ছাড়িয়ে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন তানজিদ।

তানজিদ ও টম ব্রুসের জুটিতে ৬১ বলে ওঠে ১১০ রান। ব্রুস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৬ রান করে, শেষ ১১ বলে চট্টগ্রাম তোলে ২২ রান। তবে এরপরও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ খুলনাকে ছুড়ে দেয় চট্টগ্রাম।

সে চ্যালেঞ্জে তৃতীয় ওভারে পারভেজ হোসেন থামলেও এনামুল হক ও শেই হোপের ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটিতে ভালো একটা ভিতই পায় খুলনা। এনামুলকে ফিরিয়ে নবম ওভারে সে জুটি ভাঙেন রোমারিও শেফার্ড, এরপর খুলনা দাঁড়াতে পারেনি আর। চট্টগ্রামের বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক শুভাগত হোম, ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ওমানের বিলাল খান ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গেছে তারা, কোনো জুটিই বড় হয়নি। এভিন লুইস, আফিফ হোসেন, মাহমুদুল হাসান ও জেসন হোল্ডারের সমন্বয়ে গড়া খুলনার মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ৭৫ থেকে ৯৯—এই ২৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৯২/৪ (ওয়াসিম ১, তানজিদ ১১৬, সৈকত ১৬, ব্রুস ৩৬*, শেফার্ড ১০, শুভাগত ৭*; পারনেল ৪-০-২৭-১, নাসুম ৩-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-২৯-১, মুকিদুল ৪-০-৪৫-১, মাহমুদুল ১-০-১১-০, আরিফ ৪-০-৪৬-০)

খুলনা টাইগার্স: ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (এনামুল ৩৫, পারভেজ ৬, হোপ ৩১, লুইস ৬, আফিফ ৬, মাহমুদুল ৭, হোল্ডার ১৮, পারনেল ২, নাসুম ৩, মুকিদুল ৩, আরিফ ৬*; বিলাল ৪-০-১৩-২, শুভাগত ৪-০-২৫-৩, শালিক ১.৫-০-১৫-১, শহীদুল ২-০-১৮-১, শেফার্ড ৪-০-২৫-১, নিহাদউজ্জামান ৪-০-২৯-১)

ফল: চট্টগ্রাম ৬৫ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানজিদ হাসান