বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উচিত কোহলির ইনিংসটি আরেকবার দেখা

জয়-পরাজয় যা–ই হোক, এ ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী একটা বাংলাদেশ দল দেখতে চেয়েছিলাম। বিচ্ছিন্ন কিছু পারফরম্যান্স ছাড়া ইতিবাচক তেমন কিছু পাওয়া গেল না। দুর্দান্ত শুরুর পর ৩০০ রানের স্কোর হয়তো একটা সান্ত্বনা হতে পারত।

তরুণ তানজিদ হাসানের ব্যাটিং ভালো লেগেছে। টপ অর্ডারে একজনের সেঞ্চুরি আশা করেছিলাম। লিটন দাস সে পথেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু দারুণ বোলিং করতে থাকা রবীন্দ্র জাদেজার ফাঁদে পা দিলেন। নিজের উইকেটের মূল্য বুঝে সে সময় ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল না। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো ছিল, তবে পরের দিকে স্পিনারদের বিপক্ষে শট খেলা সহজ ছিল না।

দারুণ শুরু পেলেও মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে এমন ধস নামলে পরের ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন হয়ে যায়। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ তবু ভালো খেলেছেন। মাহমুদউল্লাহ ভালো সঙ্গী পাচ্ছেন না এত নিচে নামায়। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবা উচিত, তিনি ব্যাটিং অর্ডারে অবমূল্যায়িত হচ্ছেন কি না। সাকিব ছিলেন না, দলের এমন ভালো শুরুর পর মিরাজ বা হৃদয়কেই নিচে খেলানো যেত। আর মিরাজকে তো তাঁর দুর্বলতা অনুযায়ী শর্ট বলেই আউট করতে পেরেছে ভারত। মিরাজকে নিয়ে আর কত! তাঁকে নিয়ে কী করা হচ্ছে, সেটি ভাবা উচিত। দলের যা পুঁজি আছে, তা সর্বোচ্চ কাজে লাগানো হচ্ছে না।

সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহলি

আমার মনে হয়, কোহলির ইনিংসটি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের আরেকবার দেখা উচিত—কীভাবে এ পরিস্থিতিতে ইনিংস গড়তে হয়। এমন রান তাড়ায় ভারত একবারও চাপে পড়েনি। কিন্তু যে সময় উইকেট একটু শ্লথ ছিল, তখন কোহলি থাকায় কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি।

সাকিবের না খেলাটা অবশ্যই বড় ধাক্কা। একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হয়েছে। নেতৃত্বেও তাঁর অনুপস্থিতি টের পাওয়া গেছে। নাজমুলের ওপর নেতৃত্ব বাড়তি বোঝা হয়ে গেছে হয়তো। সাকিবের জায়গায় আসা নাসুম সেরাটাই দিয়েছেন, কিন্তু হুট করে ভারতের বিপক্ষে এমন ম্যাচে নেমে পারফর্ম করা কঠিন। হয়তো জাদেজার মতো উইকেট টু উইকেট বল করলে আরেকটু সফল হতে পারতেন। পেসাররা তেমন আশা জাগাতে পারছেন না। অবশ্য পাঁচ বোলার নিয়ে আসলে তেমন কিছু করার ছিলও না।

  • গাজী আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক