২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা যাবে আরেকটি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা যাবে আরেকটি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ কি সত্যিই লাহোরে হবে

ভারত–পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের সর্বশেষ অধ্যায়টি রচিত হয়েছে গতকাল। ভিন্ন এক মহাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়েছে এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তির ম্যাচ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের পরের লড়াইটাও খুব বেশি দূরে নয়। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই আবার তারা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। আগামী বছরের মার্চে হতে যাওয়া সেই ম্যাচটি কোথায় হবে—এই প্রশ্ন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।

আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। টুর্নামেন্টটি যখন পাকিস্তানে, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচটিও পাকিস্তানেই হওয়ার কথা। এরপরও ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের স্থান নিয়ে প্রশ্ন থাকার কারণ একটাই—দেড় দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান সফর যায় না ভারত। শুধু তা–ই নয়, রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দল দুটি এখন আর নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজও খেলে না।

গতকাল নিউইয়র্কে হয়ে গেল ভারত–পাকিস্তানের সর্বশেষ লড়াই

একটা সময় ছিল, যখন ভারত ও পাকিস্তান নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অংশ নিত। পাকিস্তানে এসিসি বা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট কিংবা ত্রিদেশীয় কোনো সিরিজ হলেও অংশ নিত। কিন্তু এখন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তো নয়ই, এসিসি বা আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলতেও পাকিস্তানে যায় না ভারত।

সর্বশেষ এশিয়া কাপেও দেখা গেছে এমনটা। টুর্নামেন্টটির আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের খেলাগুলো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এর কারণ তো একটাই—এশিয়া কাপ খেলতে ভারত সরকার পাকিস্তানে দল পাঠানোর অনুমতি দেয়নি।

তবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি অনুযায়ী ভারত–পাকিস্তান ম্যাচটি হওয়ার কথা লাহোরে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এরই মধ্যে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচির খসড়া আইসিসিকে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক খবরের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।

সেই খসড়া সূচি অনুযায়ী, ২০ দিনের টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচের ৫টি রাওয়ালপিন্ডি, ৩টি করাচি আর ৭টি ম্যাচ হওয়ার কথা লাহোরে। ভারত দলের সব ম্যাচই হওয়ার কথা সেখানে। শেষ পর্যন্ত ভারত এই সূচি আর ভেন্যু মানবে কি না, কে জানে!

এর আগেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেন্যু বদলে যাওয়ার উদাহরণ তো আছেই। যদিও বিভিন্ন সূত্র থেকে ক্রিকবাজ জানতে পেরেছে, পিসিবি ও আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের হাইব্রিড মডেল (ভারতের ম্যাচগুলো অন্য কোনো দেশে হওয়ার বিষয়) নিয়ে আলোচনা করেনি।