শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে নাজমুল হোসেনের দল।
৩ মে চট্টগ্রামে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জিতেছে।
৫ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
৭ মে চট্টগ্রামে তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে জিম্বাবুয়ে।
পাঁচ ম্যাচের এই টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য গত পরশু দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এই দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাদ পড়েছেন পারভেজ হোসেন ও আফিফ হোসেন এবং পেসার শরীফুল ইসলামকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ, আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
চতুর্থ টি–টোয়েন্টিতে দলে নেই মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় গতকাল কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ চতুর্থ টি–টোয়েন্টি ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।
চতুর্থ ম্যাচে দলে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও রিচার্ড এনগারাভা। দলে নেই জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
ওপেনিংয়ে লিটন দাসের জায়গায় ফিরেছেন সৌম্য সরকার। অন্য প্রান্তে তাঁর সঙ্গী তানজিদ হাসান।
চট্টগ্রামে এ বছর ১৮ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দেশের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন সৌম্য।
বাংলাদেশ: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩ রান।
দেখেশুনে প্রথম ওভারে ব্যাট করলেন সৌম্য ও তানজিদ। ভালো লেংথে বল করেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ও স্পিনার সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান।
সিরিজে ইনফর্ম পেসার ব্লেসিং মুজারাবানিও ভালো শুরু পেলেন। এই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন মুজারাবানি।
এই ওভারে থার্ডম্যান দিয়ে একটি চার পেয়েছেন তানজিদ। বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারি।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২২ রান।
প্রথম ওভারে এসেছে ৩ রান। পরের ওভারে ৭ রান এবং তৃতীয় ওভারে এল ১২ রান। রাজার করা তৃতীয় ওভারে দুটি চার আদায় করে নেন তানজিদ।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান।
পরিস্কার শরীরী ভাষায় নিজের পরিকল্পনাটা বোলারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন তানজিদ!
রিচার্ড এনগারাভার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেট এসে উইকেটকিপারের পেছন দিয়ে ২ রান পেয়েছেন। পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ক্রিসপি বাউন্ডারি। তৃতীয় বলেও তাই! তবে এবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে।
তানজিদ ১৮ বলে ৩০ এবং সৌম্য ৬ বলে ২ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান।
মুজারাবানির করা এই ওভারেও জোড়া বাউন্ডারি মেরেছেন তানজিদ। বড় রানের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান।
সিরিজে চার ম্যাচের মধ্যে পাওয়ার প্লে–তে এটাই সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের।
এনগারাভার করা ষষ্ঠ ওভারে লেগ বাই ও ওয়াইডসহ দুটি চার এসেছে। ২৭ বলে ৪০ রানে ব্যাট করছেন তানজিদ। অন্য প্রান্তে ৯ বলে ৬ রানে অপরাজিত সৌম্য।
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লে–তে যথাক্রমে ৩৫ ও ৪১ রান উঠেছে। শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারের মধ্যে ৪২ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি পেয়েছিলেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস খেলার পর চতুর্থ ম্যাচে আবারও ফিফটি পেলেন তানজিদ। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে ফিফটি পেয়েছেন তিনি।
মূল ভূমিকাটা পালন করেছেন তানজিদ হাসানই। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৭ বলে ৫২ রান। সৌম্য দিয়েছেন সঙ্গে। তাতে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয়বার শতরানের জুটি গড়েছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা।
এক প্রান্ত থেকে অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে তানজিদের ব্যাটিং দেখছিলেন সৌম্য। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে করেছিলেন মাত্র ৬ রান। পাওয়ার প্লের পর হাত খুলেছিলেন তিনি। ব্রায়ান বেনেটের বলে রিভার্স সুইপে ছক্কার পর পেসার লুক জঙ্গুয়ের বলে মেরেছেন ছক্কা। শেষ পর্যন্ত জঙ্গুয়ের বলেই এলবিডব্লিউ হয়েছেন সৌম্য। চোট থেকে ফিরে প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছেন ৩৪ বলে ৪১ রান করে। বাংলাদেশের রান ১২.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১৪।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২১
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই জ্বলে উঠেছিলেন। সর্বশেষ ম্যাচে পেয়েছিলেন ফিফটি। তবে আজ সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়।
১০ মাস পর টি–টোয়েন্টিতে ফিরে ৩ বলের বেশি টিকতে পারলেন না সাকিব। বেনেটের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রানে।
ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করলেন সাকিবকে। শেষ বলে অধিনায়ক নাজমুলকে। বেনেট ১ রান দিয়ে ফেরান দুই বাঁহাতিকে। তাতে ম্যাচে ফিরেছে জিম্বাবুয়ে।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১৩৩
তানজিদ–সৌম্যর ওপেনিং জুটি থেকে ১০১ রান ওঠার পর সমর্থকেরা হয়তো ২০০ রানের প্রত্যাশা করছিলেন। তবে ২০০ রান দূরে থাক, ১৫০ রানও এখন অনেক দূরে বাংলাদেশের জন্য। সাকিব, নাজমুল ফেরার পর একে একে ফিরেছেন জাকের আলী, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৩/১০( তানজিদ ৫২, সৌম্য ৪১; জঙ্গুয়ে ৩/২০, বেনেট ২/২০)
শুরুটা বাংলাদেশের আর শেষটা জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের প্রথম ১১ ওভারে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার মিলে তোলেন ১০০ রান। প্রথম উইকেট জুটিতে ৬৮ বলে ১০১ রান তোলা সেই বাংলাদেশই ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১৪৩ রানে। অর্থাৎ শেষ ৪২ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৯ উইকেট। তাতে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৪৪ রানের। দারুণভাবে ম্যাচে ফেরার কৃতিত্বটা পাবেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। পেসার জঙ্গুয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, বেনেট ও এনগারাভা নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জিম্বাবুয়ে: ১ ওভারে ১ উইকেটে ৪ রান।
রান তাড়াটা সহজ হবে না জিম্বাবুয়ের জন্য।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে চতুর্থ বলেই উইকেট নিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। ৪ বলে ০ রানে আউট হলেন বেনেট।
ক্রিজে মারুমানির নতুন সঙ্গী অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ক্রিজে নেমেই তাসকিনের ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন রাজা।
জিম্বাবুয়ে: ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৮ রান।
দ্বিতীয় ওভারে পেসার তানজিম হাসানকে তিনটি চার মেরেছেন রাজা। এই ওভারে ১৪ রান দিয়ে বাজে শুরু করলেন তানজিম।
৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত রাজা। মারুমানি অন্য প্রান্তে ১ বলে ১ রানে অপরাজিত।
জিম্বাবুয়ে: ৩ ওভারে ১ উইকেটে ২৬ রান।
আক্রমণে এসে প্রথম তিনটি বল লেগ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ও দ্বিতীয় বলে চার মেরেছেন মারুমানি। নিজের প্রথম ওভারে ৮ রান দিয়ে বোলিং শুরু করলেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ে: ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রান।
দুর্দান্ত ডেলিভারি!
বলটা পিচ করে একটু ভেতরে ঢুকেছিল। সিকান্দার রাজার পা যেন অসাড়! সামনে পা নিয়ে খেললে হয়তো ব্যাটে পেতেন। কিন্তু জায়গায় দাঁড়িয়ে বলটা ঠেকাতে গিয়ে বোল্ড হন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ১০ বলে ১৭ রানে ফিরলেন রাজা। এর মধ্য দিয়ে রাজা এবং মারুমানির ২৮ রানের জুটিও ভাঙল।
নিজের দুই ওভারে ১টি করে উইকেট নিলেন তাসকিন।
জিম্বাবুয়ে: ৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৩ রান।
১৩ বলে ১৪ রান করা মারুমানিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করলেন সাকিব। সুইপ করতে গিয়ে বল ব্যাটে পাননি জিম্বাবুয়ে ওপেনার। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু লাভ হয়নি। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট পেলেন সাকিব।
পরের বলেই ক্লাইভ মাদান্দের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেছিলেন সাকিব। আম্পায়ার নাকচ করে দেওয়ায় রিভিউও নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেননি।
জিম্বাবুয়ে: ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭ রান।
পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। রান তাড়ায় খুব ভালো শুরু বলা যায় না।
ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৫ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৮
লেগ স্পিনার রিশাদের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মাদান্দে। ব্যাট বলে হয়নি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ১৮ বলে ১২ রান করে। তাতে ২৫ রানের জুটি ভাঙে জিম্বাবুয়ের।
রিশাদের করা ইনিংসের দশমের ওভারের প্রথম বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জোনাথন ক্যাম্পবেলের ক্যাচ ছাড়েন হৃদয়। এরপর পরের ওভারেই তানজিমের বলে রায়ার্ন বার্লের ক্যাচ ফেলেন উইকেটকিপার জাকের। যদিও হৃদয়ের তুলনায় জাকেরের ক্যাচটি কিছুটা কঠিন ছিল।
জিম্বাবুয়ে ১৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৭
ওভারের প্রথম বলে ছক্কা, পরেরটিতে চার। এর পরের দুই বলে এল ৩ রান, পরেরটিতে আবার ছক্কা। সব মিলিয়ে তানজিমের করা ইনিংসের ১৩ ওভারে ২০ রান নিয়েছেন ক্যাম্পবেল ও বার্ল।
ভালোই জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের ৫২ রান প্রয়োজন, এমন সময়ে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। ওভারের প্রথম দুই বলে ডট খেলা বার্ল তৃতীয় বলে খেলতে চান বড় শট। মোস্তাফিজের স্লোয়ারে ঠিকভাবে টাইমিং করতে পারেননি। মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্যর হাতে। এই ওভারের শেষ বলে রিশাদের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লুক জঙ্গুয়েও।
৩/১৪ (প্রথম টি–টোয়েন্টি)
২/১৮ (দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি)
১/২১ (তৃতীয় টি–টোয়েন্টি)
২/২০ (চতুর্থ টি–টোয়েন্টি)
১৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৭
মিডল ওভারে সাকিবকে দেখা যায়নি। পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ১৩ রান দেওয়া সাকিব আবার বোলিংয়ে এলেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে। বোলিংয়ে এসেই ওভারের প্রথম বলে আউট করেছেন ক্যাম্পবেলকে। ২৭ বলে ৩১ রান করেছেন এই বাঁহাতি। ৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৭ রান।
২ ওভারে ২১ রান। সমীকরণটা খুব কঠিন নয়। জিম্বাবুয়ের এমন সমীকরণ আরও একটু সহজ হয় ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হলে। তবে ওভারেই তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে ফিরিয়ে আবারও বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিদ হাসান। স্লোয়ারে উইকেট পাওয়ার পরের দুটি বলও মোস্তাফিজ করেন স্লোয়ার। দুটি বলেই ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। ওভারের শেষ বলে মুজারাবানির নিশ্চিত ছক্কা বাঁচিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল। তাতে শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ১৪।
শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের প্রথম বলে মাসাকাদজার ক্যাচ মিস করেন তানজিদ। পরের বল মুজারাবানি মিস করলেও তৃতীয় বলে মারেন ছক্কা। ৩ বলে ৭ রানের সমীকরণটা মোটেই কঠিন কিছু নয়!
তবে এমন সমীকরণে মুজারাবানিকে ফেরান সাকিব। এরপর এনগারাভাকে প্রথম বলে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৫ রানের জয় এনে দেন এই অলরাউন্ডার। এই জয়ে সিরিজে ৪–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৩/১০( তানজিদ ৫২, সৌম্য ৪১; জঙ্গুয়ে ৩/২০, বেনেট ২/২০)
জিম্বাবুয়ে: ১৯.৪ ওভারে ১৩৮(ক্যাম্পবেল ৩১, মাসাকাদজা ১৯*; সাকিব ৪/৩৫, মোস্তাফিজ ৩/১৯)
বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে আগেই। আজকের ম্যাচে ৫ রানে জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৪–০ ব্যবধানে এখন এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে এমন জয়ে বিশ্বকাপের আগে কতটা তৃপ্তিতে থাকতে পারবে বাংলাদেশ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ প্রথম দল হিসেবে ওপেনিং জুটিতে ১০০ রান তোলার পর অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ৪২ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৯ উইকেট। ৫ রানের জয়ে এমন বিভীষিকাময় ব্যাটিং কী ভোলা যায়!