স্কোরবোর্ডে ২৭০ রানের পুঁজি নিয়ে একটু সংশয়েই ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এখনকার দিনে ৫০ ওভারের খেলায় ৩০০ রানের কম মানেই যে ’লো স্কোরিং’। তবে বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হারতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় তুলেছে বড় ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়ার তোলা ২৭০ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গেছে ২০২ রানে। হেডিংলির এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়ায় নামা ইংল্যান্ডকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন জশ হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক। হ্যাজলউড ফিল সল্টকে ফেরানোর পর স্টার্ক ফেরান উইল জ্যাকস ও হ্যারি ব্রুককে। ইংল্যান্ডের রান তখন ৩ উইকেট ৪৬। এরপর তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা অ্যারন হার্ডি দ্রুতই বেন ডাকেট ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে তুলে নিলে ইংল্যান্ডের স্কোর পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৬৫ রানে। এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড।
বাকি সময়ে জেমি স্মিথ কিছুটা লড়াই করলেও অন্যদের কেউ শক্তভাবে হাল ধরতে পারেননি। স্মিথ ৪৯ রান করে আউট হওয়ার পর জ্যাকব বেথেল (২৫), ব্রাইডন কার্স (২৬) ও আদিল রশিদের (২৭) ছোট্ট তিনটি ইনিংসে ভর করে দুই শ পার করে স্বাগতিকেরা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫০ রানে ৩ উইকেট নেন অসুস্থতার কারণে আগের ম্যাচ মিস করা স্টার্ক।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার পুঁজি আড়াই শ পার করাতে বড় ভূমিকা রাখেন অ্যালেক্স ক্যারি। ২২১ রানে নবম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের সংগ্রহে নিয়ে যান এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৭৪ রান করেন ক্যারি। তার আগে ৫৯ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মার্শ।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ২৪ সেপ্টেম্বর চেস্টার-লি-স্ট্রিটে।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৪.৪ ওভারে ২৭০ (ক্যারি ৭৪, মার্শ ৬০, হেড ২৯, শর্ট ২৯; কার্স ৩/৭৫, পটস ২/৩০, বেথেল ২/৩৩, রশিদ ২/৪২)।
ইংল্যান্ড : ৪০.২ ওভারে ২০২ (স্মিথ ৪৯, ডাকেট ৩২, রশিদ ২৭, কার্স ২৬; স্টার্ক ৩/৫০, ম্যাক্সওয়েল ২/১৫, হার্ডি ২/২৬, হ্যাজলউড ২/৫৪)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৬৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অ্যালেক্স ক্যারি
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি শেষে অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।