পিসিবির প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি
পিসিবির প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদি

স্ট্রাইক রেট ১৩৫ না থাকলে পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দলে নয়

পাকিস্তান ক্রিকেটের পালাবদলের খেলায় বড় দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক। পদে বসেই ওলট-পালট করে দেখিয়েছেন নিজের ক্ষমতা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল থেকে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়ে খেলিয়েছেন সরফরাজ আহমেদকে, যিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান দলে ব্রাত্য ছিলেন। সরফরাজ অবশ্য মুখ রেখেছেন আফ্রিদির সুযোগ পাওয়ার পর খেলা প্রথম ইনিংসেই বড় স্কোরে।

এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, আফ্রিদি এবার প্রধান নির্বাচক হয়ে নতুন এক নিয়ম করতে যাচ্ছেন। পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হওয়া পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলকে শক্তিশালী করতেই তাঁর এ নির্দেশনা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেতে হলে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট কমপক্ষে ১৩৫ হতে হবে।

কয়েক মাস ধরেই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বেশ কয়েক খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুর্বল স্ট্রাইক রেটের কারণে সমালোচিত। আফ্রিদি যে নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছেন, সেটি বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

আফ্রিদির নির্দেশ অনুযায়ী বাবর পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাবেন তো!

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাত দিয়ে নিয়োগকৃত রমিজ রাজাকে। ইমরান খান সরকারের পতনের পর শাহবাজ শরিফের নতুন সরকার রমিজকে কিছুদিন ‘সহ্য’ করলেও সেটি দীর্ঘায়িত হয়নি। তাঁর বদলে চেয়ারম্যান পদে ফেরানো হয়েছে নজম শেঠিকে। তিনি দায়িত্ব নিয়েই বোর্ডের কিছু জায়গায় পরিবর্তন এনেছেন। প্রধান নির্বাচকের পদে রমিজের সময় ছিলেন সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেঠি এসেই তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদিকে। বদলে গেছে বোর্ডের নতুন গঠনতন্ত্র। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ‘নতুন’–এর ঘোষণা আসছে শেঠির নেতৃত্বাধীন বোর্ডের কাছ থেকে।

রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট নিয়েও সমালোচনা আছে

আফ্রিদির এই স্ট্রাইক রেট-সংক্রান্ত ঘোষণা তেমনই একটা ব্যাপার। পাকিস্তানের ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তানের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, স্ট্রাইক রেটের ব্যাপারে নিজের কঠোর অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক মারকুটে অধিনায়ক, ‘স্ট্রাইক রেট ১৩৫ বা এর চেয়ে বেশি যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে না থাকে, তাহলে সেই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাবে না।’

এই ‘মানদণ্ড’ নতুন ক্রিকেটারদের জন্য, না পাকিস্তান দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা এর আওতায় পড়বেন, সেটি অবশ্য পরিষ্কার করে জানাননি আফ্রিদি। পাকিস্তানের বর্তমান খেলোয়াড়েরা যদি এর আওতায় পড়েন, তাহলে স্ট্রাইক রেটের বড় উন্নতি করতে হবে খোদ অধিনায়ক বাবর আজমকেই। এ ছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ানের স্কোরিং রেট নিয়েও সমালোচনা আছে।