যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা দেখা হচ্ছিল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। এই সিরিজে হবে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা, এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। পরীক্ষা–নিরীক্ষা দূরে থাক, এখন তো ধবলধোলাই এড়ানো নিয়েই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
পূর্ণশক্তির দল নিয়েও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে। এমন হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যা বলেছেন, সে কথা এর আগেও আপনি শুনেছেন বহুবার—টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশে হেরেছিল ৫ উইকেটে। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে কাল নাজমুল ইসলামের দল হেরেছে ৬ রানে। যেকোনো সংস্করণেই এই প্রথম তারা কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে সিরিজ হারিয়েছে। সাকিবের কাছে এই হার হতাশার। তিনি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন, ‘অবশ্যই এটা হতাশার। আমরা এটা আশা করিনি। যুক্তরাষ্ট্র দলকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা যেভাবে খেলেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। সাকিব অবশ্য দায়টা কোনো বিভাগকে আলাদা করে দিতে চান না, ‘এটা দলীয় খেলা। সবারই দায়িত্ব নিতে হবে। কাউকে কিংবা কোনো বিভাগকে দোষ দিতে চাই না। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে তিন বিভাগেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এখানে ছোট–বড় কোনো দল নেই। যে কারণেই অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে এটা বেশি রোমাঞ্চকর। এর বড় প্রমাণ গত দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের পারফরম্যান্স।’
কেন এমন হার, কারণটা সাকিব নিজেও জানেন না, ‘সতর্কবার্তা কি না, বলতে পারব না। যেকোনো ম্যাচ হারাটাই হতাশার। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি না। (সমস্যা কোথায়) আমি বলতে পারব না। এটার উত্তর আমার কাছে নেই। আমাদের কেউই আশা করেনি, দুটি ম্যাচে হেরে যাব। সমস্যাটা কোথায়, সেটা আমি জানলে দলকে বলতাম। দল অন্য রকম পারফরম্যান্স করত। আমাদের বিশ্বকাপ খেলতে হবে। যেহেতু আমরা আমাদের মতো করে খেলতে পারিনি, তাই এই সিরিজটা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা হতে পারে।’
তিনি এরপর যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রথম ম্যাচে আমরা ওদের হালকাভাবে নিয়েছি, হতে পারে যেটা করতে চেয়েছি, তা করতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে একই ঘটনা ঘটেছে। আমরা মাঠে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। পিচ ততটা বাজে মনে হয়নি, আমাদের ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’