টাই, সুপার ওভারেও টাই, এরপর দ্বিতীয় সুপার ওভারে মীমাংসা—বেঙ্গালুরুতে কাল ভারত-আফগানিস্তান সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দেখেছে এমনই নাটকীয়তায় ভরপুর লড়াই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দুটি সুপার ওভার দেখা ম্যাচটিতে হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
প্রথম সুপার ওভারে ম্যাচ টাই হয়ে গেলে আবার সুপার ওভার হবে—এমন নিয়ম চালুর পর ১৫টি ম্যাচ টাই হয়ে সুপার ওভারে গড়িয়েছে। সব কটিই সুপার ওভারে মীমাংসা হয়েছে। ১৬তম ম্যাচে এসে দরকার পড়েছে আরেকটি সুপার ওভারের। এর আগে ২০২০ আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচে দুটি সুপার ওভার হয়েছিল।
টাই হওয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। ২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে উঠেছিল ৪২৮ রান, দুই দলের রান ছিল ২১৪ করে। আর ভারত-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টিতে ৪২৪-ই সর্বোচ্চ। এই দুই দলের টি-টোয়েন্টিতে আগে সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ বিশ্বকাপে আবুধাবিতে ৩৫৪ রান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি শতকের মালিক রোহিত শর্মা। সূর্যকুমার যাদব ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে টপকে রোহিতের একক শতক ৫টি। অবশ্য বাকি দুজনের চেয়ে রোহিত ম্যাচও খেলেছেন বেশি। সূর্যকুমার ৬০ ও ম্যাক্সওয়েল ১০০ টি-টোয়েন্টিতে শতক করেছেন ৪টি। রোহিত পাঁচটির জন্য খেলেছেন ১৫১ টি-টোয়েন্টি।
ম্যাচের ১৯ ও ২০তম ওভারে ভারত তোলে ৫৮ রান, যা ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে শেষ দুই ওভারে যেকোনো দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। এত দিন সর্বোচ্চ ছিল গত বছরের এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৫৫ রান।
ভারতের রোহিত শর্মা ও রিংকু সিং ইনিংসের করিম জানাতের করা ২০তম ওভার থেকে নেন ৩৬ রান, যা টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে যুবরাজ সিং এবং ২০২১ সালে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে কাইরন পোলার্ড ৩৬ রান নিয়েছিলেন। তবে দুটিই ছিল ছয় বলে ছয় ছক্কায়।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে রোহিতই এখন সবচেয়ে বেশি বয়সী টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান। আফগানদের বিপক্ষে শতকের দিন তাঁর বয়স ছিল ৩৬ বছর ২৬২ দিন। ভারত অধিনায়ক ভেঙেছেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিস গেইলের ৩৬ বছর ১১৭ দিন বয়সে করা শতকের রেকর্ড।