দ্য হানড্রেডে অবিক্রিত আফ্রিদিরা
দ্য হানড্রেডে অবিক্রিত আফ্রিদিরা

৪৫ জন নাম লিখিয়ে হানড্রেডে দল পাননি কোনো পাকিস্তানি, কারণ কি ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি

দ্য হানড্রেডের ড্রাফটে পাকিস্তানের অনেকের দল না পাওয়া অনুমিতই ছিল। তাই বলে ৪৫ জন নাম লিখিয়ে একজনও দল পাবেন না, এটি চমকে দেওয়ার মতোই ঘটনা। কারণ, ৪৫ জনের তালিকায় ছিলেন পেসার নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, স্পিনার উসামা মির, অলরাউন্ডার শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিমের মতো ক্রিকেটার।

এদের প্রত্যেকেই এর আগে ১০০ বলের এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন। আর দ্য হানড্রেডে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের আনাগোনা অনেক বেশিও নয়। তাহলে কেন অবিক্রিত থেকে গেলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা?

চলতি বছরে দ্য হানড্রেডে মাঠে গড়াবে আগস্টে। একই সময়ে পাকিস্তান সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এটি একটি কারণ হতে পারে। তবে পাকিস্তান সমর্থকেরা অন্য একটা কারণও এখানে দেখছেন।

দল পাননি শাদাব খান
পিসিবি

সম্প্রতি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসসহ আইপিএলের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্য হানড্রেডের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার অংশীদার হয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগ থাকার কারণে এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানিদের সুযোগ পাওয়া নিয়ে আগেই সংশয় তৈরি হয়েছিল।

তখন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে ড্রাফট থেকে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটারকেই দলে নেয়নি কোনো দল। এর আগে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এসএটি-টোয়েন্টিতেও কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলতে পারেনি। আর আইপিএলে তো পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ২০০৯ সাল থেকেই নেই।

কাল হওয়া ড্রাফটে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন আফগানিস্তানের স্পিনার নূর আহমেদ ও নিউজিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েল। ২ লাখ পাউন্ড করে দাম উঠেছে তাঁদের। সেদিক থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খুব বেশি ভিত্তিমূল্যও ছিল না। পাকিস্তানিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড দাম ছিল নাসিমের। ইমাদ ও সাইম আইয়ুবের দাম ছিল ৭৮,৫০০ পাউন্ড করে।