এক ওভার হাত ঘোরানো স্টিভেন স্মিথ ছাড়া ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বোলারই উইকেট তুলে নিয়েছেন, স্বীকৃত বোলারদের মধ্যে বাকি ছিলেন শুধু প্যাট কামিন্স। কিন্তু লর্ডসের যে সকালটা শুধুই অস্ট্রেলিয়ার, সে সময় অধিনায়ক আর বঞ্চিত থাকেন কীভাবে?
ইংল্যান্ডের দশ নম্বর ব্যাটসম্যান জশ টাংয়ের জন্য একটা শর্ট বলই করতে হলো কামিন্সকে। আর সেই বলে শর্ট লেগে ম্যাট রেনশকে ক্যাচ দিলেন টাং। কামিন্স পেলেন প্রথম উইকেট, ইংল্যান্ড হারাল শেষ উইকেট।
তৃতীয় দিনের সকালে ১৫.২ ওভারে ৪৭ রান তুলতেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে দেড় ঘণ্টা পর ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেমে গেছে ৩২৫ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে পেয়েছে ৯১ রানের লিড।
ইংল্যান্ড লর্ডসে খেলছে এজবাস্টন টেস্টে ২ উইকেটের হারে পিছিয়ে থেকে। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে তৃতীয় দিন সকালের এই ব্যাটিং–বিপর্যয়ে শঙ্কা হিসেবে দেখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।
বিবিসি টেস্ট লাইভে কুক লিখেছেন, ‘স্কোরবোর্ড বিপজ্জনক মনে হচ্ছে না, কিন্তু ম্যাচ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে।’
এমন পরিস্থিতির শুরুটা বেন স্টোকসকে দিয়ে। মিচেল স্টার্কের করা দিনের দ্বিতীয় বলেই তৃতীয় স্লিপে ক্যামেরন গ্রিনকে ক্যাচ দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। স্টার্ক পরে হ্যারি ব্রুককেও তুলে নেন। আগের দিন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা ব্রুকের অর্জন বলতে ৫ রান যোগ করে চতুর্থ ফিফটিতে পৌঁছাতে পারা।
স্টোকস–ব্রুকের আউটের পর স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ৩৬ বলে ১৬ রান করে ডানহাতি এ উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ফেরেন জশ হ্যাজলউডের বলে।
৩১১ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ডের অলআউট হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। ১ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে যা ৩২৫–এ থেমেছে।