হাতে চুমু খেয়ে দুই হাত প্রসারিত করে শাহিন শাহ আফ্রিদির সেই চিরচেনা উদ্যাপন। তবে এবারের এই উদ্যাপনের অন্য একটা অর্থ আছে, আছে প্রশান্তি আর স্বস্তিও। শ্রীলঙ্কার ওপেনার নিশান মাদুশকাকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ তম উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আফ্রিদি।
যে কীর্তি তিনি গড়তে পারতেন ১ বছর আগেই, এই শ্রীলঙ্কাতে তাদের বিপক্ষেই। কিন্তু চোটের কারণে সেই সুযোগ আর পাননি তিনি। তবে এক বছর পর সেই শ্রীলঙ্কাতেই তাদের বিপক্ষে নতুন বলে উইকেট পাওয়াটা কিছুটা হলেও আক্ষেপ কমাতে পারে আফ্রিদির।
নতুন বলের প্রসঙ্গটা আসছে। কারণ, এক বছর আগেও নতুন বলেই ১০০ তম উইকেট নিতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। এই ম্যাচের আগে পিসিবির ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই পেসার বলেছিলেন, ‘মাত্র ১ উইকেট দূরে ছিলাম, আর নতুন বলটাও নেওয়ার সময় হয়ে আসছিল। নতুন বল কাজে লাগিয়ে আমি মাইলফলকটা ছুঁতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই আমি চোটে পড়ি।’
টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা আফ্রিদি অন্য দুই সংস্করণে অনেক আগেই ফিরেছেন। শ্রীলঙ্কায় পাওয়া হাঁটুর চোট কাটিয়ে আফ্রিদি খেলেছিলেন গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে আবারও চোট পান এই পেসার। সে কারণেই টেস্টে ফেরা এতটা দীর্ঘায়িত হয়েছে আফ্রিদির।
টেস্টে ১০০ উইকেট পাওয়া হয়তো অনেক বড় কোনো অর্জন নয়, তবে বড় অর্জনের পথে প্রথম ধাপ বলাই যায়। এই প্রাথমিক ধাপটা পার হতেই অনেক কাঠখোর পোড়াতে হলো আফ্রিদিকে। ক্যারিয়ারের ২৬ তম টেস্টে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদির আগে টেস্টে কমপক্ষে ১০০ উইকেট নিয়েছেন আরও ১৭ জন।
পাকিস্তানের হয়ে ১০০ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় আফ্রিদি অষ্টম দ্রুততম। পাকিস্তান কিংবদন্তি ইমরান খান ও ওয়াসিম আকরামের চেয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন এই বাঁহাতি। টেস্টে ইমরান খানের ১০০ উইকেট নিতে লেগেছিল ২৬ টেস্ট আর ওয়াসিম আকরামের ৩০ টেস্ট। পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার ইয়াসির শাহ, তাঁর লেগেছিল ১৭ টেস্ট।
আফ্রিদির ফেরার টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৫.৫ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ১৮ রান।