সাকিবের লড়াইয়ের পরও নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ
সাকিবের লড়াইয়ের পরও নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ

বলছেন সাকিব

‘সত্যি বলতে কি, আমাদের হাতে খুব বেশি বিকল্পও নেই’

নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচে তিনটি ভিন্ন ওপেনিং জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। বোলিং কম্বিনেশনেও পরিবর্তন হয়েছে নিয়মিত। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য বলছেন, বিশ্বকাপের দলটি কেমন হবে, সেটি তাঁদের জানাই আছে। এরপরও সেরা কম্বিনেশনটা খুঁজে পেতেই সবাইকে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে।

আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে অবশেষে ‘মেকশিফট ওপেনার’-এর তত্ত্ব থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নামেন নাজমুল হোসেন। চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে তিনে খেলা লিটন দাসকেও নিয়ে আসা হয় ওপরে। সর্বশেষ ৯ ম্যাচে এ নিয়ে বাংলাদেশের এটি ষষ্ঠ ওপেনিং জুটি। বিশ্বকাপের স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকা সৌম্য সরকারকে খেলানো হলেও তিনি নেমেছিলেন ৩ নম্বরে। বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসছে, তবে এখনো নিজেদের সেরা কম্বিনেশন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই বাংলাদেশ দলের।

বিশ্বকাপের দলটা কবে খুঁজে পাবে বাংলাদেশ, ৪৮ রানে হারা ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা খুব বেশি দূরে নেই। একটি-দুটি জায়গায় হয়তো বদল আনতে চাইব, সত্যি বলতে কি, আমাদের হাতে খুব বেশি বিকল্পও নেই। বিশ্বকাপে আমাদের দলটা কেমন হবে, সেটি আমাদের জানা। সেরা কম্বিনেশনটা বুঝতেই শুধু সবাইকে খেলার সুযোগ দিচ্ছি।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন লিটন দাস

এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে বিশ্বকাপ দলে থাকা ১৫ জনই শুধু নয়, খেলানো হয়েছে স্ট্যান্ডবাইয়ে থাকা শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারকেও। আগের দুই ম্যাচে ওপেন করা মেহেদী হাসান মিরাজকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে খেলানোই হয়নি। স্বীকৃত পঞ্চম বোলার হিসেবেও ছিলেন না কেউ, ওই ৪ ওভার করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও সৌম্য সরকার।

গত ম্যাচে সাতে নামলেও সাকিব আজ এসেছিলেন ৪ নম্বরেই। সেখানে রানের দেখাও পেয়েছেন। তবে তাঁকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। টপ অর্ডারে শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন ও সৌম্য, সাকিব ছাড়া পুরো মিডল অর্ডারই তো ব্যর্থ। রান পেলেও তাই তৃপ্ত হতে পারছেন না সাকিব, ‘রান করলে তো ভালো লাগেই, তবে এটাও বলতে হবে, আমরা ভালো খেলেছি। আজকের পিচটিও আলাদা ছিল। নিউজিল্যান্ড বড় স্কোর গড়েছে, আমরা সব সময়ই পিছিয়ে ছিলাম। হয়তো আর ১৫-২০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারলে ব্যাপারটি আদর্শ হতো। উইকেট হারানোর মূল্য দিতে হয়েছে আসলে আমাদের।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এ ব্যাপারটি তাই হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিয়মিতই। সেটি ভাবাচ্ছে সাকিবকেও, ‘শেষ তিন ম্যাচের দিকে তাকালে দেখবেন, আমরা একইভাবে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে গেছি, প্রতি ২ ওভারে হারিয়েছি। মোমেন্টাম পাইনি। এভাবে রান তাড়া করা কঠিন, এমন হলে ইনিংস গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে হয়, রান তাড়া করার বদলে।’

প্রতিদিনই এমন কোনো সমস্যা তাই জয়ের সঙ্গে দূরত্বটা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশে দলের। সাকিবও জানেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সেরা কম্বিনেশন যেমন দরকার, তেমনি জয়টাও গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালের আশা শেষ হয়ে গেলেও আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিও তাই সমান গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি, ‘টসের সময়ও বলেছি, এখানে জিততে এসেছি। জিতলে মোমেন্টাম পাব, ফলে কালকের ম্যাচও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।’