৬ ওভারে দরকার ৬৪ রান, উইকেটে নিকোলাস পুরান আর লোকেশ রাহুলের মতো ব্যাটসম্যান। যাঁদের দুজনই আবার ততক্ষণে থিতু হয়ে গেছেন। কিন্তু এই ম্যাচটা লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। বলা ভালো জিততে দেননি রাজস্থান রয়্যালসের সন্দীপ শর্মা।
ডানহাতি এ পেসার টপাটপ উইকেট তোলেননি। কিন্তু টি–টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতার জন্য যেভাবে রান আটকানো দরকার, সেটিই করেছেন চমৎকারভাবে। তাতে লক্ষ্ণৌকে ২০ রানে হারিয়ে জয়ে মৌসুম শুরু করেছে রাজস্থান রয়্যালস। ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাওয়া সঞ্জু স্যামসন সোজাসাপটাই বলেছেন, সন্দীপ দারুণ বোলিং না করলে পুরস্কারটি তাঁর হাতে উঠত না।
ম্যাচসেরা না হয়েও অধিনায়কের কাছ থেকে ম্যাচ জেতানোর স্বীকৃতি পাওয়া সন্দীপ কী করেছেন আসলে?
৩০ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসারের হাতে স্যামসন বল তুলে দেন ১৫তম ওভারে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নামা লক্ষ্ণৌর রান তখন ১২৯। পুরান ব্যাট করছেন ৩৭ বলে ৫১ রানে, রাহুল ২১ বলে ৩৫–এ। লক্ষ্ণৌর নাগালে থাকা ম্যাচটি বল হাতে নিয়েই আলগা করতে শুরু করেন সন্দীপ। ইয়র্কার, স্লোয়ার আর বাউন্সারের মিশেলে প্রথম ৬ বলে দেন মাত্র ৫ রান।
১৭তম ওভারে ফিরে একই ধাঁচের বোলিংয়ে দেন মাত্র ৭ রান, তুলে নেন রাহুলের উইকেটও (৪৪ বলে ৫৮ রান)। ম্যাচ লক্ষ্ণৌর হাতছাড়া হয়ে যায় সেখানেই।
সন্দীপ পরে ১৯তম ওভারে ১১ রান দিলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণে রাজস্থান। শেষ ওভারে আবেশ খান মাত্র ৬ রান দিলে রাজস্থান জিতে যায় ২০ রানে।
ম্যাচের শেষ বলের পর রাজস্থান অধিনায়ক স্যামসন শুরুতেই জড়িয়ে ধরেন সন্দীপকে। ২০১৫ সালে ভারতের হয়ে দুটি টি–টোয়েন্টি খেলা এই পেসারই যে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। ৩ ওভার বল করে উইকেট মাত্র ১টি পেলেও ২২ রান দিয়ে ম্যাচ এনে দিয়েছেন রাজস্থানের হাতে। যে কারণে ৪১ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পুরানকে।
এর আগে রাজস্থানের রান দুই শর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেন অধিনায়ক স্যামসন (৫২ বলে ৮২) ও রিয়ান পরাগ (২৯ বলে ৪৩)। যদিও দিন শেষে জয় এনে দেওয়ার কাজটি করেছেন সন্দীপই।
রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৯৩/৪ (স্যামসন ৮২, পরাগ ৪৩, জয়সোয়াল ২৪; নাভিন ২/৪১, বিষ্ণই ১/৩৮, মহসিন ১/৪৫)।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (পুরান ৬৪*, রাহুল ৫৮, হুদা ২৬; বোল্ট ২/৩৫, চাহাল ১/২২, সন্দীপ ১/২৫)।
ফল: রাজস্থান রয়্যালস ২০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সঞ্জু স্যামসন (রাজস্থান রয়্যালস)।