আইপিএলে গতকাল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে ১৯ রানে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাতে প্লে–অফে উন্নীত হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলে এখন পর্যন্ত দুটি দল প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে। দিল্লির আগে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ প্লে–অফের আর দুটি জায়গা বাকি আছে। আসুন, জেনে নিই এ দুটি স্থানের জন্য কোন দলের কেমন সুযোগ আছে—
দিল্লি ক্যাপিটালস
১৪ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট, রানরেট -০.৩৭৭
আইপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের ১৪ ম্যাচ খেলা শেষ দিল্লির। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলটির হাতে আরও দুই ম্যাচ আছে। এর অর্থ হলো আইপিএলে প্লে–অফে ওঠার সুযোগ দিল্লির নেই বললেই চলে। দিল্লির আশা টিকে আছে এখনো প্রার্থনায় ফল পাওয়ার ওপর।
দলটিকে প্রার্থনা করতে হবে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে চেন্নাই সুপার কিংস যেন হারাতে পারে। তাতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করতে পারবে চেন্নাই। দিল্লিকে এর পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে সানরাইজার্স যেন তাদের শেষ দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে যায়। এতে সানরাইজার্সের রানরেট (০.৪০৬) দিল্লির নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা থাকবে। সে ক্ষেত্রে সানরাইজার্সকে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে গড়ে অন্তত ৯৫ রানের ব্যবধানে হারতে হবে। সম্ভব?
লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস
১৩ ম্যাচ, ১২ পয়েন্ট, রানরেট-০.৭৮৭
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে লক্ষ্ণৌ। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে থাকা লক্ষ্ণৌরও ১৪ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু নেট রানরেটে বেশ পিছিয়ে তারা। ধরা যাক মুম্বাইয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ২০০ রান তুলে ১০০ রানের জয় পেল লক্ষ্ণৌ। তখন তাদের রানরেট হবে -০.৩৫১। অর্থাৎ দিল্লির মতো লক্ষ্ণৌরও একাধিক অলৌকিক ব্যাপার না ঘটলে প্লে–অফে ওঠার সম্ভাবনা নেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
১৩ ম্যাচ, ১২ পয়েন্ট, রানরেট ০.৩৮৭
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বেঙ্গালুরু। সানরাইজার্স যদি আর ১টি পয়েন্ট পায়, তাহলে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় চেন্নাইকে পয়েন্ট টেবিলে টপকে যাওয়ার সুযোগ পাবে বেঙ্গালুরু। সে ক্ষেত্রে আগে ব্যাট করে ২০০ রান তুললে অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে জিততে হবে দলটিকে। পরে ব্যাট করে ২০০ তাড়া করলে জিততে হবে ১৮.১ ওভারের মধ্যে (উইনিং শটে কত রান এল, সেটার ওপর নির্ভর করবে)। বেঙ্গালুরুর জয়ের ব্যবধান কম হলেও সুযোগ থাকবে। সে ক্ষেত্রে সানরাইজার্সকে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হারতে হবে যেকোনো ব্যবধানে এবং ১৪ পয়েন্টই থাকতে হবে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে হার কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে সানরাইজার্স বাদ পড়বে।
চেন্নাই সুপার কিংস
১৩ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট, রানরেট ০.৫২৮
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জিতলেই প্লে–অফ নিশ্চিত হবে চেন্নাইয়ের। ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ১৮ রানের কম ব্যবধানে হারলে তাদের রানরেট বেঙ্গালুরুর ওপরে থাকবে। কিন্তু বড় ব্যবধানে হারলে চেন্নাইকে আশা করতে হবে সানরাইজার্স যেন নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হেরে যায় এবং রানরেটে তাদের পেছনে থাকে। সে ক্ষেত্রে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু—উভয় দলই প্লে–অফে উত্তীর্ণ হবে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১২ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট, রানরেট ০.৪০৬
আর মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই প্লে–অফে উঠবে সানরাইজার্স। কিন্তু নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হারলে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই ম্যাচে চেন্নাইয়ের জয়ের প্রার্থনা করতে হবে সানরাইজার্সকে এবং রানরেটে দিল্লির ওপরে থাকতে হবে। ধরা যাক, সানরাইজার্স নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হারল এবং বেঙ্গালুরু চেন্নাইকে হারিয়ে দিল, তখনো কিন্তু একটা সুযোগ থাকবে। সে ক্ষেত্রে চেন্নাইয়ের রানরেট সানরাইজার্সের নিচে থাকতে হবে। তবে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের একটি কিংবা দুটি জিতলেও শীর্ষ দুইয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে সানরাইজার্সের।
রাজস্থান রয়্যালস
১২ ম্যাচ, ১৬ পয়েন্ট, রানরেট ০.৩৪৯
রাজস্থান প্লে–অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। তবে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাইলে নিজেদের বাকি দুই ম্যাচের একটি কিংবা সব কটিই জিততে হতে পারে। এই সমীকরণ নির্ভর করছে অন্য দলগুলো কেমন পারফর্ম করে তার ওপর। রাজস্থান নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হারলে এবং ১৬ পয়েন্টের বেশি না পেলে সানরাইজার্স ও চেন্নাইয়ের তাদের টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে।