বিপিএলে ‘কোড অব কনডাক্ট’ বা শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ, রংপুর রাইডার্সের মেহেদী হাসান ও নিকোলাস পুরান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মোসাদ্দেক হোসেন। সবাইকেই জরিমানা করা হয়েছে, পাশাপাশি তাঁরা ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন।
মাহমুদের শাস্তিটি ১০ ফেব্রুয়ারি ম্যাচের, বাকি তিনজনের শাস্তি এসেছে প্লে-অফ রাউন্ডের ম্যাচে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের শাস্তির কথা জানায় বিসিবি। সবাই শাস্তি মেনে নিয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি কারও ক্ষেত্রেই।
কোড অব কনডাক্টের ২.২০ ধারা, যেটি ক্রিকেটের চেতনা-সম্পর্কিত, তা ভেঙেছেন মাহমুদ। ১০ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মিরপুরের ম্যাচে এ কাজ করেন তিনি। ঠিক কী করেছেন, সেটি আলাদা করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেদিন রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষ দিকে খুলনার ড্রেসিংরুমে তাদের কোচ মাহমুদ ধূমপান করছেন—টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখানো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মাহমুদকে তাঁর ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে, সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ২টি ডিমেরিট পয়েন্টও। শেষ পর্যন্ত বরিশালকে ৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছিল খুলনা।
মেহেদীর ঘটনাটা বরিশালকে এলিমিনেটরে বিদায় করে দেওয়া ম্যাচে। ২.২ ধারা ভেঙেছেন রংপুরের এ অলরাউন্ডার, যেটি ক্রিকেট সরঞ্জামের অপব্যবহার। পরে ব্যাটিং করা রংপুরের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ছুটতে ছুটতে হেলমেট খুলে নিতে দেখা যায় মেহেদীকে, তবে এরপর ব্যাট দিয়ে সেটিকে বলের মতো করে মেরে দূরে ফেলে দেন। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
একই ম্যাচে বিসিবির ‘ক্লোথিং রেগুলেশন’ বা পোশাকের নিয়ম ভেঙেছেন পুরান। বিপিএলে গতকালই প্রথম রংপুরের হয়ে নামেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ককে দেখা যায় ২৯ নম্বর জার্সি পরতে। তবে আগে থেকেই ২৯ নম্বর জার্সি পরা আরেকজন—শামীম হোসেনও একই দলে ছিলেন।
পুরানকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। এবারের বিপিএলে জার্সিসংক্রান্ত জরিমানা অবশ্য এটিই প্রথম নয়; এর আগে ঢাকা ডমিনেটরসের আমীর হামজা ও মিজানুর রহমানকে ভুল জার্সি পরার পর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
মোসাদ্দেকের শাস্তি এসেছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ২.২২ ধারার লোগো গাইডলাইন মানেননি তিনি, বিসিবি বলেছে এমন। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে এ অলরাউন্ডারের নামের পাশে।
মাহমুদ, মেহেদী, পুরান ও মোসাদ্দেক—সবার অপরাধই লেভেল ওয়ান ধরনের। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা, সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি ১টি বা ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তিটি পেয়েছেন পুরানই।