কাঁধে চোট পাওয়ায় বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না নাসিম শাহ
কাঁধে চোট পাওয়ায় বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না নাসিম শাহ

পিসিবির অবহেলায় বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না নাসিম শাহর, দাবি মঈনের

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ৪৬তম ওভারে ডান কাঁধে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান নাসিম শাহ। তখন থেকেই নাসিমের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে

যদিও অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের শেষ দিকে নাসিমকে পাওয়া যাবে। কিন্তু পাকিস্তান দলের জন্য বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসে তাঁর কাঁধের স্ক্যান রিপোর্ট। সেই স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায়, তরুণ ফাস্ট বোলারের চোট প্রাথমিক অনুমানের চেয়েও গুরুতর। ৬ মাসের মতো মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে।

দ্বিতীয়বার স্ক্যান রিপোর্টের ফল একই এলে শেষ পর্যন্ত নাসিমকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

দারুণ ছন্দে থাকা নাসিমের বিশ্বকাপে খেলতে না পারাকে অনেকে ‘দুর্ভাগ্য’ হিসেবে দেখতে পারেন। কিন্তু মঈন খানের মতে, পিসিবির চিকিৎসা বিভাগের গাফিলতির কারণেই প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না ২০ বছর বয়সী পেসারের। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।

৫২ বছর বয়সী মঈন বলেছেন, ‘নাসিমের চোট পাকিস্তান দলের মেডিকেল প্যানেল ও থিজিওথেরাপিস্টদের জন্য একটি বিপর্যয়। কারণ, সে (নাসিম) তার সমস্যা নিয়ে তিন–চার মাস ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। এরপরেও তারা ওকে টানা খেলিয়েছে। অবশ্যই একজন খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়তে চান না। কিন্তু সে যখন নিজ থেকেই তার চোটের ব্যাপারে জানিয়েছে, তখন বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মেডিকেল প্যানেল সেটা করেনি। এটাই বিপর্যয় ডেকে এনেছে।’

১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মঈন আরও বলেছেন, ‘দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেডিকেল প্যানেলের মতামত জানা আবশ্যক। বিশেষ করে অধিনায়কের জন্য এটা জানা আরও জরুরি। অধিনায়ক সেই অনুযায়ী একজন খেলোয়াড়ের “ওয়ার্ক লোড” নিয়ন্ত্রণ করে। দলের সব খেলোয়াড় প্রতিভাবান। তাই একই কম্বিনেশন খেলিয়ে পুরো বছর কাটিয়ে দেওয়ার পন্থা অবলম্বন করা ঠিক নয়।’

পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মঈন খান

এ অবহেলার জন্য চিকিৎসা বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পিসিবিকে আহ্বান জানিয়েছেন মঈন, ‘বোর্ড কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের (চিকিৎসা বিভাগ) তলব করা। কারণ, বিশ্বকাপের আগে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। নাসিম দারুণ ছন্দে ছিল, অসাধারণ বোলিং করছিল।’

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে নাসিমের জায়গায় হাসান আলীকে নেওয়া হয়েছে। হাসানকে নেওয়ার ব্যাখ্যায় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা সামনে এনেছিলেন পিসিবির প্রধান নির্বাচক ইনজামাম ইল হক। একসময়কার সতীর্থ ইনজামামের সুরে সুর মিলিয়েছেন মঈনও, ‘হাসান আলী একজন অভিজ্ঞ বোলার। ওকেও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে হাসানকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।’

নাসিমের জায়গায় পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন হাসান আলী

বিশ্বকাপে কোন ৪ দল সেমিফাইনাল খেলতে পারে, সাক্ষাৎকারে সেই ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান, ‘পাকিস্তান, ভারত ও ইংল্যান্ডকে রাখছি। আমার চোখে চতুর্থ দল অস্ট্রেলিয়া।’