ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের শুরুটা হয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারতীয় দল লঙ্কানদের তাদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। তবে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়া গম্ভীর বেশি দিন প্রধান কোচের পদে টিকতে পারবেন না বলে মনে করছেন তাঁরই একসময়ের সতীর্থ যোগিন্দর শর্মা।
গম্ভীর ও যোগিন্দর দুজনই ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। যোগিন্দরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র ৮ ম্যাচের হলেও স্মরণীয় হয়ে আছেন ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে ম্যাচ জেতানোর কারণে।
বর্তমানে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা যোগিন্দর একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক সতীর্থ গম্ভীরকে নিয়ে বলেছেন, ‘গৌতম গম্ভীর ভারতের দল পরিচালনার দায়িত্বে আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, সে বেশি দিন এই দায়িত্বে টিকতে পারবে না।’
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যোগিন্দরের যুক্তি, ‘কারণ তার নিজস্বতা আছে, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পছন্দ করে। এমনও হতে পারে তার সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের পছন্দ হবে না। আমি বিরাট কোহলির কথা বলছি না। অনেকবার দেখেছি, গম্ভীরের সিদ্ধান্তগুলো এমন, যা অন্যরা পছন্দ করে না।’
গম্ভীর তোষামোদকারী নন। নিজের কাজটা অত্যন্ত সততার সঙ্গে করে থাকেন বলেই তিনি বিপদে পড়তে পারেন ধারণা যোগিন্দরের, ‘গম্ভীর সরাসরি কথা বলার মানুষ। সে কারও কাছে যাওয়ার মানুষ নয়, কাউকে তোষামোদও করবে না। আমরা এ জন্য তাকে পছন্দ করি, কৃতিত্ব দিই। সে তার কাজটা নিবেদন ও সততা দিয়ে করে থাকে।’
ভারতীয় দলের কোচ হলেও সেই অর্থে এই পদে গম্ভীরের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। ৪২ বছর বয়সী ভারতের এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ২০২১ ও ২০২২ আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুবারই দলটি আইপিএল প্লে অফে জায়গা করে নেয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টরের দায়িত্ব নেন। কলকাতা তাঁর অধীনে তৃতীয়বারের মতো আইপিএল শিরোপা জয় করে।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল শিরোপা এনে দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবার পরামর্শকের ভূমিকায়ও সেরা সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন সাবেক এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আইপিএল পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) গম্ভীরকে প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দেয়। তবে কোচ হিসেবে ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় দক্ষতা ঝালাই করার চেয়ে গম্ভীরের ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট’ দক্ষতাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সেই দায়িত্বে গম্ভীর কতটা সফল হন, সেটিই দেখার অপেক্ষা।