১৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে অপরাজিত ৪৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকোলাস পুরান
১৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে অপরাজিত ৪৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকোলাস পুরান

পুরান-ঝড়ে নাকাল হয়ে হারল হায়দরাবাদ

দশে মিলে করি কাজ—আজ লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংসটি যেন এমনই ছিল। ফিফটি নেই একটিও। এরপরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তোলে হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা ভালো শুরু পায়নি লক্ষ্ণৌ। কিন্তু শেষ দিকে নিকোলাস পুরানের ঝড়ে নাকাল হয়েছেন হায়দরাবাদের বোলাররা। ম্যাচটি হেরেছে তারা ৪ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে লক্ষ্ণৌ। ১১ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে হায়দরাবাদ।

রান তাড়া করতে নেমে ১২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার কাইল মায়ার্সকে হারায় লক্ষ্ণৌ। ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৩০ রান। প্রেরাক মানকড় ও কুইন্টন ডি কক মিলে আর কোনো উইকেট পড়তে না দিলেও রানের খুব বেশি দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না। ফলে, বোঝা বাড়ছিল দলের।

ম্যাচ শেষে পুরান ও মানকড়ের উচ্ছ্বাস

ডি কক যখন আউট হন, ৮.২ ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের রান ছিল ৫৪। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মানকড়। কিন্তু দলকে ১২৭ রানে রেখে ১৫.৩ ওভারে আউট হয়ে যান স্টয়নিসও। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪০ রান করেন তিনি।

লক্ষ্ণৌয়ের তখন জয়ের জন্য ২৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৫৬ রান। এই সময়ে উইকেটে এসে ঝড় তোলেন পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান ২৭ বলের মধ্যে ১৩টি বল খেলেন। এই ১৩ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে অপরাজিত ৪৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সেই সময় মানকড় অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৬৪ রান করে। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজনে মিলে ২৩ বলে তোলেন ৫৮ রান। যেখানে মানকড়ের অবদান ১০ বলে ১৪।

এর আগে হায়দরাবাদ ১৮২ রান তুলতে পারে আনমলপ্রীত সিংয়ের ২৭ বলে ৩৬, হেনরিক ক্লাসেনের ২৯ বলে ৪৭ ও আবদুল সামাদের ২৫ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে। লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নিয়েছেন যুধবীর সিং, আবেশ খান, যশ ঠাকুর ও অমিত মিশ্র।