মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষটা আজ দেখে ফেললেন ইমরুল কায়েস। খুলনা বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটারদের গার্ড অব অনারের মাঝে শেষবারের মতো সাদা পোশাকে ব্যাট করতে নামেন তিনি। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর শেষটা রাঙাতে পারেননি ইমরুল, ৩ বল খেলে ১ রান করেছেন তিনি। সিলেট বিভাগের অমিত হাসান ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। চতুর্থ রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরির পর অমিতের ব্যাট থেকে এসেছে সেঞ্চুরি। ৫ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের পেসার আহমেদ শরীফ।
প্রথম ইনিংসে সুমন খান। দ্বিতীয় ইনিংসে এনামুল হক। ঢাকা বিভাগের দুই পেসারের সামনে দুই ইনিংসে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে সুমন ৬ উইকেট নিলে খুলনা অলআউট হয় ১৭২ রানে। ঢাকাও প্রথম ইনিংসে বেশি দূর যেতে পারেনি, আরিফুল ইসলামের ৬২ রানের সৌজন্যে ঢাকা করেছে ১৬০ রান। ১২ রানের লিড পাওয়া খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পেরেছে মাত্র ৩৪.৪ ওভার। এনামুল ৪ উইকেট নিলে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয় খুলনা। এনামুলের দুর্ভাগ্য, আলোকস্বল্পতায় দিনের শেষে খেলা চালিয়ে যেতে স্পিনারদের বোলিং করাতে হয়। তা না হলে ৫ উইকেট স্পর্শ করতে পারতেন তরুণ এই পেসার। খুলনার ওপেনার অমিত মজুমদার আদ্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আদ্যন্ত ব্যাট করলেন অমিত। আগামীকাল ১০৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামবে ঢাকা বিভাগ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আদ্যন্ত ব্যাট করলেন খুলনার অমিত মজুমদার।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে করেছে ৩৩৬ রান। আজ রংপুর তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২১৮ রান নিয়ে। ওপেনারদের ব্যর্থতার পর তিনে নামা আবদুল্লাহ আল মামুন ৬৫ রান করেছেন। ৪০ রানে থামে অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে লিড পেতে হলে রংপুরকে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তানভীর হায়দার (১১) ও আরিফুল হকের (২৮) দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ফিফটি করে গতকালই থিতু সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান। আজ সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন তিনি। তাঁর ১০১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে সিলেট ৩৭৬ রান করেছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর অষ্টম সেঞ্চুরি। ২৪৬ রানে পিছিয়ে থাকা মহানগর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে করেছে ৪৯ রান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পেসারদের দাপট চলছেই। কাল বাঁহাতি পেসার ফাহাদ হোসেনের ৫ উইকেটে ১১২ রানে অলআউট রাজশাহী। আজ চট্টগ্রামকে ২৫২ রানে নিয়ে যায় শামীম হোসেনের ঝোড়ো ব্যাটিং। দলের বিপদে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২৮ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। জবাবে রাজশাহী দিন শেষে করেছে ৮ উইকেটে ২০২ রান। চট্টগ্রামের তরুণ পেসার আহমেদ শরীফ ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর প্রথম ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহী এগিয়ে আছে ৬২ রানে।