জনি বেয়ারস্টোর ওই ভুলেই কী ওভাল টেস্টে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করল ইংল্যান্ড?
বোধ হয়। আজ বেয়ারস্টো যখন স্টিভ স্মিথকে রান আউট করার সুযোগ মিস করেন, তখন স্মিথের রান ৪৩। সেই স্মিথ ৭১ রানে আউট হওয়ার আগে করেছেন আরও ২৮ রান। সবচেয়ে বড় কথা, অস্ট্রেলিয়ীয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৪৫ রান যোগ করেছেন।
তাতে ব্যাটিং ধসে খেই হারানো অস্ট্রেলিয়া ফিরে পায় ছন্দ। ১৮৫ রানে ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ১২ রানের লিড। ইংল্যান্ডের ২৮৩ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২৯৫ রান। ১২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করবে ইংল্যান্ড।
এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ চাপের মুখেই ফেলেছিলেন ইংলিশ বোলাররা। প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারালেও দ্বিতীয় সেশনে তারা ৫ উইকেট হারায়। সে কৃতিত্বটা ইংল্যান্ডের বোলারদের। কাল ৫০-৬০ ওভার পুরোনো বলেও তাঁরা মুভমেন্ট আদায় করেছেন। আর ওভালের উইকেটে কিছুটা বাউন্স তো ছিলই। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের রান করার সুযোগও এসেছে কমই।
লাবুশেনের কথাই ধরুন। মার্ক উডের বলে স্লিপে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে তিনি রান করেছেন মাত্র ৯, কিন্তু বল খেলেছেন ৮২টি! খাজার সঙ্গে লাবুশেনের ৪২ রানের জুটি এসেছে ১৫৬ বলে। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডব্লু হন খাজা। স্ট্রাইক রেট (২৯.৯৪) কম ছিল তাঁরও, ১৫৭ বল খেলে ৪৭ রান করেন এই বাঁহাতি।
এরপর ট্রাভিস হেড (৪), মিচেল মার্শ (১৬), অ্যালেক্স ক্যারি (১০), মিচেল স্টার্ক (৭) আউট হয়েছেন দ্রুতই। ৭১ রানে স্মিথ আউট হওয়ার পরও ইংল্যান্ড এগিয়ে ছিল ৪৪ রানে। তবে টড মার্ফি ও কামিন্সের ৪৯ রানের জুটিতে লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। মার্ফি করেন ৩৪ রান। বেন স্টোকসের দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায়ের আগে কামিন্স করেছেন ৩৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৪.৪ ওভারে ২৮৩ (ব্রুক ৮৫, ডাকেট ৪১, ওকস ৩৬, মঈন ৩৪, উড ২৮, ক্রলি ২২; স্টার্ক ৪/৮২, মার্ফি ২/২২, হ্যাজলউড ২/৫৪)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১০৩.১ ওভারে ২৯৫ (স্মিথ ৭১, খাজা ৪৭, কামিন্স ৩৬, মার্ফি ৩৪ ; ওকস ৩/৬১, রুট ২/২০, উড ২/৬২, ব্রড ২/৪৯)