গিলের হৃদয়ে কোন সারা, জানেন না কেউ
গিলের হৃদয়ে কোন সারা, জানেন না কেউ

সীমানায় ফিল্ডিংয়ে দাঁড়াতেই গিলের উদ্দেশে ‘সারা সারা’ রব, কোহলির রসিকতা

১১২, ৪০*, ২০৮, ১১৬, ২১, ৭০—সর্বশেষ দুই ওয়ানডে সিরিজে শুবমান গিলের ছয়টি ইনিংস। ১১৩.৪ গড়ে ৫৬৭ রান, ভাবা যায়! অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা গিল রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে এখন ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয়। ইদানীং তো সীমানায় ফিল্ডিং করতে গেলেও তরুণ ওপেনারকে দেখে হাঁক ছাড়েন গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা। তবে তাঁর নাম ধরে নয়, ‘কথিত প্রেমিকা’ সারার নামে।

ইন্দোরে পরশু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ১১২ রান করেন। সেঞ্চুরি পান তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৩৮৫ রানের ইমারত গড়েছিল ভারত। পরে শার্দূল ঠাকুর-কুলদীপ যাদবের বোলিং–নৈপুণ্যে ৯০ রানে জেতে স্বাগতিকেরা। কিউইদের করে ধবলধোলাই।

সেই ম্যাচেরই একপর্যায়ে সীমানায় ফিল্ডিং করতে যান গিল। তখন দর্শকেরা গ্যালারি থেকে ‘সারা সারা...’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। দর্শকদের স্লোগান শুনে বেশ মজা পান বিরাট কোহলি। অট্টহাসিতে মেতে উঠেছিলেন তিনি। একটু পর সবাইকে সেটা বারবার বলতে বলেন।

তখন দর্শকেরা বলতে থাকেন, ‘হামারি ভাবি ক্যায়সা হো, সারা ভাবি জ্যায়সা হো’ (আমাদের ভাবি কেমন হবে, সারা ভাবি যেমন হবে)। মজার এই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেছেন খেলা দেখতে যাওয়া এক দর্শক। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটা পোস্ট করেন।

অবিশ্বাস্য ছন্দে আছেন গিল

এটাই প্রথম নয়। হায়দরাবাদে প্রথম ওয়ানডেতেও গিল সীমানার কাছে ফিল্ডিং করতে গেলে দর্শকেরা ‘সারা সারা...’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। যদিও ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

আসলে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছে, অভিনেত্রী সারা আলী খানের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে গিলের। তবে কারও কারও দাবি, এই সারা মানে সাইফ আলী খানের মেয়ে নন; শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। তাঁরা নাকি নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎও করছেন। তবে গিলের হৃদয়ে কোন সারা রয়েছেন, নাকি পুরোটাই গুজব—এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।