রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ উইকেট জুটিতে ২৩২ রান তুলেছেন মুম্বাইয়ের তুষার দেশপান্ডে ও তানুশ কোটিয়ান
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ উইকেট জুটিতে ২৩২ রান তুলেছেন মুম্বাইয়ের তুষার দেশপান্ডে ও তানুশ কোটিয়ান

শেষ দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি, জুটিতে উঠল ২৩২ রান

তাই বলে শেষ উইকেটে ২৩২ রান! অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন কীর্তির দেখা মিলেছে ভারতের রঞ্জি ট্রফিতে। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ বরোদার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের হয়ে এমন কীর্তি গড়েছেন তানুশ কোটিয়ান ও তুষার দেশপান্ডে। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ দুজন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি করেছেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটল দ্বিতীয়বার।

শেষ উইকেট জুটিতে ২৩২ রান করার পরও রঞ্জি ট্রফির সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড ছুঁতে পারেননি তানুশ ও তুষার। সেটা অবশ্য মাত্র ১ রানের জন্য। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে দিল্লির হয়ে অজয় শর্মা ও মনিন্দর সিং ২৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেদিন অবশ্য দুজন সেঞ্চুরি পাননি। অজয় শর্মা পেয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি আর মনিন্দর সিং করেছিলেন ৭৮ রান।

আজকের আগে দশম ও এগারোতম ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির রেকর্ড সেই ১৯৪৬ সালে। ইন্ডিয়ানস বনাম সারের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন চান্দু সারওয়াতে আর সুঁটে ব্যানার্জি।

তুষার অবশ্য এগারো নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর ১২৩ রানই এগারো নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ, ভেঙেছেন ২০০১ সালে তামিলনাড়ুর হয়ে বিদ্যুৎ লক্ষ্মণ শিবারামাকৃষ্ণানের করা ১১৫ রানের রেকর্ড।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ উইকেট জুটিতে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় যদিও তানুশ ও তুষার ঢুকতে পারেননি; প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড অ্যালান কিপ্যাক্স ও হাল হুকারের। ১৯২৮-১৯২৯ মৌসুমে মেলবোর্নে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৩০৭ রানের জুটি গড়েন কিপ্যাক্স ও হুকার।

তানুশ কোটিয়ান (বাঁয়ে) ও তুষার দেশপান্ডের সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন

তুষার ও তানুশের ২৩২ রানের জুটিতে আজ কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দিনে বরোদাকে ৬০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মুম্বাই। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে বরোদা বিনা উইকেটে ৬ রান করেছে।