ইতিহাস! সিলেটে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারিয়েছে। খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে ঢুকেই উদ্যাপন শুরু করেন। কয়েকজন জার্সি বদলে হইচই শুরু করে দেন। নাজমুল হোসেন সে উদ্যাপনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাননি। তিনি অধিনায়ক, কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে যেতে হলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।
এরপর সংবাদ সম্মেলন। সেখানে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে টেস্টে হারানোর অনুভূতি জানতে চাওয়া হয় নাজমুলের কাছে। একটু ভেবে বাংলাদেশ অধিনায়কের উত্তর, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি। যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে এ রকম জয়—খুবই আনন্দিত।’
গত বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে টেস্টে হারিয়েছিল। মাউন্ট মঙ্গানুইর সেই স্মরণীয় টেস্টজয়ী দলের সদস্য ছিলেন নাজমুল। এবার সিলেট টেস্টে তো অধিনায়কত্বই করলেন। দুটি জয়ের মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন নাজমুল? উত্তরে নাজমুল কোনোটাই বেছে নেননি, ‘দুইটাই। টেস্ট যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো সময় জিততেই ভালো লাগে।’
নিউজিল্যান্ড অবশ্য যেকোনো দল নয়। দুই বছর আগেও নিউজিল্যান্ড দল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী ছিল। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা খেলছেন এই দলে। নাজমুলও বলছিলেন, ‘অবশ্যই ভালো দল। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক বেশি আমার কাছে। আমার মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততেই ভালো লাগে। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা দল, দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন ছিল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এত বড় (১৫০ রান) জয় বাংলাদেশের টেস্ট দলকে বদলে দিতে পারে, সে আভাসও ঝরল নাজমুলের কথায়, ‘এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের ম্যাচগুলো যদি আমরা না ভুলি, কী কী ঠিক করেছিলাম—এসব নিয়ে যদি ভবিষ্যতে এগোতে পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এগিয়ে যাব।’