সেঞ্চুরির পর লিভিংস্টোন
সেঞ্চুরির পর লিভিংস্টোন

খেলাটা ‘উপভোগ’ করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেন লিভিংস্টোন

গত সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের চোটের কারণে পরে সুযোগ পেয়েছিলেন। খুব বড় কিছু করতে পারেননি। একটি অপরাজিত ফিফটি ও একটি অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুই ম্যাচে আবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ইংল্যান্ডের তরুণ ওয়ানডে দলটির নেতৃত্বই দেওয়া হয় তাঁকে। ইংল্যান্ডের মূল ওয়ানডে দলে জায়গা পাকা করতে দুর্দান্ত কিছু প্রয়োজন ছিল লিভিংস্টোনের।

সেটাই বোধ হয় কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছেন। খেলেছেন ৮৫ বলে অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে সিরিজে ফিরিয়েছেন সমতা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একেবারেই তরুণ একটি দল নিয়ে ওয়ানডে খেলছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের এই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের নামটা শুনলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে—স্পিনার আদিল রশিদ (৯০৪)।

দলটি আবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। নর্থ সাউন্ডে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেটি ইংল্যান্ডের জন্য ছিল সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। এমন ম্যাচে লিভিংস্টোন যে ইনিংসটি খেলেছেন, তা দলের পাশাপাশি তাঁর জন্যও প্রয়োজন ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শাই হোপের সেঞ্চুরিতে টসে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ৩২৮ রান। এই রান ইংল্যান্ড টপকেছে লিভিংস্টোনের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে। ৯ ছক্কা ও ৫ চারের এই ইনিংসের প্রথম ৫৭ বলে লিভিংস্টোন করেছিলেন মাত্র ৪৬। পরের ২৮ বলে করেছেন ৭৮ রান। এতেই ১৫ বল হাতে রেখে জয় পায় ইংল্যান্ড। ফিফটি করেছেন ফিল সল্ট ও স্যাম কারেনও।

সেঞ্চুরি করেছেন শাই হোপ

৩২৮ রানের সংগ্রহ নিয়ে বেশ সন্তুষ্টই ছিলেন হোপ। ম্যাচ শেষে সে কথাই বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, এটা ভালো সংগ্রহ ছিল। আউটফিল্ড ভালো ছিল না, উইকেটের বাউন্স অসমান ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংগ্রহটা যথেষ্ট হয়নি।’

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা লিভিংস্টোন বলছেন, ‘গ্রীষ্মের শেষে মনে হয়েছে, আমি আমার সেরাটায় ফিরছি, পরিপক্ব হচ্ছি, খেলাটা আরও ভালো বুঝছি। আমি খেলাটা উপভোগ করছি। আমি যদি খেলাটা উপভোগ করি, সাধারণত ভালো খেলি।’