ওয়ানডেতে যে দলটির বিপক্ষে হারতে ভুলে গিয়েছিল, সেই দলটির কাছেই টানা দুই ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। তাতে ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয়েছে এই সংস্করণের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। দুই বছর আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করে আসা বাংলাদেশ দলের কী হলো!
সেন্ট কিটসে কাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো হয়নি সেটি বুঝতে স্কোর কার্ড চোখ বোলানোই যথেষ্ট। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও বড় হারের পেছনে ব্যাটিংকেই দায় দিলেন। বলেছেন, ৩০০ করা ছাড়া এই উইকেটে ম্যাচ জেতার আশা না করাই ভালো।
বাংলাদেশ কাল ১১৫ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে যে স্কোরটা ২২৭ হয়, তাতে বড় অবদান মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসানের ৯২ রানের অষ্টম উইকেট জুটিতে। তবে সেটি যে যথেষ্ট ছিল না, তা ৩৭ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেট জিতে প্রমাণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ভেবেছিলাম ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আমাদের স্কোর যথেষ্ট ছিল না, ৩০০ রানের বেশি করা দরকার ছিল।’মেহেদী হাসান মিরাজ, অধিনায়ক, বাংলাদেশ
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ব্যাটসম্যানদের ভুল শিকার করে নিয়েছেন, ‘মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। কোনো জুটি হয়নি, একের পর এক উইকেট পড়েছে। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব (তানজিম) ভালো খেলেছে তবে ভুলটা আমাদেরই।’
শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল বলেও মনে করেন মিরাজ, ‘সিলসরা ভালোই বল করছিল। আমরা শুরুতে রান ওঠাতে পারছিলাম না। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ভেবেছিলাম ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আমাদের স্কোর যথেষ্ট ছিল না, ৩০০ রানের বেশি করা দরকার ছিল।’
আগের ম্যাচেও ৩০০ করার আশা জাগিয়েও বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ২৯৪ রান। সেই রানটাও ১৪ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের বোলাররা কাল নিতে পেরেছেন মাত্র ৩ উইকেট।
তবে মিরাজ বোলারদের কোনো দায় দেননি, বরং প্রশংসাই করলেন, ‘প্রথম ১০ ওভারে আমরা দারুণ বোলিং করেছি, বিশেষ করে আমাদের সেরা বোলার রানা। এই উইকেটে এই স্কোর ডিফেন্ড করা বোলারদের জন্য খুব কঠিন।’
আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ কি পারবে ধবলধোলাই এড়াতে?