বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আজ হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরে
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আজ হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরে

‘আমার ব্যথা হয়, আমার অনেক ব্যথা হয়’

গতকাল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচনায় বারবার তামিম ইকবালের নামটা ঘুরেফিরে আসছে। আজ দল যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে, তখনো তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকার প্রসঙ্গটা তরতাজা। দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ভারতের বিমান ধরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও সে রেশটা থাকল।

আজ হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তামিমের না–থাকা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে ড্রাফটের দিনই কথা হয়েছে। ও বলছিল, ওর ইনজুরিটা আছে। “ব্যথা করছে, ব্যাক পেইন আছে। আমাকে ম্যানেজ করেই খেলতে হবে, খেলতে চাই। সেটা আমি ক্লিয়ার করে দেব বোর্ডে, জানিয়ে দেব।”’

তামিমকে নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তাঁর চোট নিয়ে মাহমুদ আরও যোগ করেন, ‘সে বলে গেল এইটুকুই যে আমার ব্যথা হচ্ছে। পেইনটা খুব বেশি। আমি বললাম, নেক্সট পরিচর্যাটা কী? ওর আরেকটা ইনজেকশনের চান্স থাকতে পারে হয়তো–বা।’ এরপর মাহমুদ জানান, তামিম তাঁকে বলেছেন, ‘আমার আসলে এভাবেই যাবে। ভালো কিছু হবে না। আমার ব্যথা হয়। অনেক ব্যথা হয়।’

সবদিক বিবেচনায় তামিমের বাদ পড়া এবং তা নিয়ে এত আলোচনাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মাহমুদ, ‘কথা হবেই। কেউ বাদ পড়বে, কেউ ঢুকবে। এটা আমাদের সময় হয়েছে। সব সময়ই ছিল।’ মাহমুদ এখন সামনে তাকাতে চান, ‘যেটা হয়ে গেছে, সেটা কালকে শেষ। আজকে নতুন একটা দিন শুরু করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ছেলেরা সেভাবে আত্মবিশ্বাসী থাকবে।’

৪টার সময় দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

বিশ্বকাপের আগে নিজেদের গুছিয়ে নিতে যা করা দরকার, সেদিকে মাহমুদের যত মনোযোগ, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজটা খারাপ ছিল আমরা জানি। আমাদের অনেকে খেলেনি। নিউজিল্যান্ডের অনেকে খেলেনি। তবে ওয়ার্ল্ডকাপ একটা আলাদা মঞ্চ। আমরা সময় পাচ্ছি বিশ্বকাপের আগে। দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ পাচ্ছি, নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছি। একটা স্বপ্ন আছে। সেটা বাস্তবায়ন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটার জন্য শুধু আমাদের প্লেয়াররা না, আমাদের সাপোর্ট স্টাফ—সবাইকে এক সুতায় থাকতে হবে। যেটা হয়েছে, সেটা ঠিক করার কিছু নেই। সামনের দিনটা দেখতে হবে। আশা করি, ভালো হবে। আমি অনেক দিন পর দলের সঙ্গে যাচ্ছি। আমার যে কাজ আছে, তা ঠিকমতো করার চেষ্টা করব।’

তামিমবিহীন যে দলটা আজ ভারতে যাচ্ছে, তাদের জন্য দেশবাসীর কাছে মাহমুদ একটা বার্তাও দিয়েছেন। তাঁর চাওয়া, সব সময়ের মতো এবারও যেন ক্রিকেটারদের সমর্থন দেওয়া হয়, ‘বাংলাদেশ যখন খেলে, সারা দেশ খেলে। সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। অনেকে নামাজ পড়েন, দোয়া করেন। সেটাই থাকুক। আমাদের প্রতি বিশ্বাসটা থাকুক। অনেকে বলবে, অনেক ছোট ছেলে যাচ্ছে, ইয়াং নেম। কিন্তু এদের ভালো করার সামর্থ্য আছে বলেই নির্বাচকেরা ওদের নিয়েছে। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যে ১৫ জনকে নেওয়া হয়েছে এরাই সেরা দল। এটাই মানতে হবে। আস্থা রাখতে হবে। দেশবাসীকে এটাই বলব।’

এই দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে রোমাঞ্চটাও ভাগাভাগি করে নিলেন মাহমুদ। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথার সুরে বললেন, ‘এক্সাইটিং একটা ক্রিকেট টিম। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারুণ্য আছে। একটা কথা সিনিয়র খেলোয়াড়েরাই বলছিল, এখন না পারলে কখন! আমিও মনে করি, এখন না পারলে কখন। এটাই আমাদের হাই টাইম।’