মোহাম্মদ আমির তো বটেই, তাঁর মা-বাবারও জন্ম, বেড়ে ওঠা পাকিস্তানে। তবে বৈবাহিক সূত্রে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে। ব্রিটিশ নাগরিক নারজিস খানকে বিয়ে করেছেন আমির। এবার সেই সূত্রে ব্রিটিশ নাগরিকত্বও পেতে যাচ্ছেন ৩১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার।
আর সেটা হলেই স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে পারবেন আমির। যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সামনের মৌসুমেই স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে ডার্বিশায়ারে যোগ দিতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার। ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন মিকি আর্থার, যিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করছেন। আর্থারের আগ্রহেই ডার্বিশায়ারের অংশ হচ্ছেন আমির।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে কারাগারে ছিলেন আমির। ওই সময় আইনজীবী হিসেবে কাজ করা নারজিসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন আমির। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তখনকার বোর্ড ও কোচিং স্টাফের সদস্যদের দ্বারা ‘মানসিক অত্যাচারে’র অভিযোগ এনে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও নিয়মিতই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলে চলেছেন আমির। ইংল্যান্ডের ঘরোয়ায় এসেক্স ও গ্লুস্টারশায়ারের হয়েও খেলেছেন। এরই মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। নির্ধারিত শর্ত পূরণ হলে সেটা পেয়েও যাওয়ার কথা।
এ মাসের শুরুর দিকে এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলেন আমির। ওই সময় তাঁর জবাব ছিল, ‘আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলব না। কারণ, পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি।’
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আজহার মেহমুদ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেওয়ার পর আইপিএলে তিন মৌসুম খেলেছিলেন। আমিরও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেওয়ার পর আইপিএলে খেলবেন কি না প্রশ্নে বলেছিলেন, ‘এখনো এক বছর বাকি আছে। তখন কী প্রেক্ষাপট দাঁড়ায় দেখা যাক। আমি সব সময়ই ধাপে ধাপে এগোতে চাই। আমি জানি না, আগামীকাল কী ঘটবে। আইপিএল নিয়ে আমি ২০২৪ সালে ভাবা শুরু করব।’